ভারতে স্টার্টআপ খাত

ভারতে স্টার্টআপ খাতে বিনিয়োগ নিম্নমুখী

তৃতীয় প্রান্তিকে বিনিয়োগের পরিমাণ ২২৩ কোটি ডলার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতীয় স্টার্টআপ খাতে বিনিয়োগ ১৩ প্রান্তিকের সর্বনিম্নে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বিনিয়োগের পরিমাণ ঠেকেছে ২২৩ কোটি ডলারে। তহবিল সংগ্রহের কঠিন পরিবেশ ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে এ পতন হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। 

ডিল স্ট্রিট এশিয়ার ‘‌ডিল রিভিউ: তৃতীয় প্রান্তিক ২০২৩’ শীর্ষক সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর নিক্কেই এশিয়া।

এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে বিনিয়োগের পরিমাণ কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। এপ্রিল-জুন সময়ে স্টার্টআপ খাতগুলো মোট ২৪৯টি চুক্তির আওতায় ৩২২ কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে। কিন্তু জুলাই-সেপ্টেম্বরে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি ও বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেয়া কঠোর মুদ্রানীতি প্রভাব ফেলেছে অর্থনীতিতে। অর্থনৈতিক মন্থরতা দেখা দেয়ায় খাতটিতে অর্থায়ন কমিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তৃতীয় প্রান্তিকে চুক্তির পরিমাণ ১৬ শতাংশ কমে নেমেছে ২০৯টিতে।

বছরওয়ারি হিসাবে অর্থায়নের পরিমাণ সমান হারে কমলেও চুক্তির সংখ্যা কমেছে ৩৯ শতাংশ। পর্যাপ্ত তহবিলের অভাবে অনেক প্রতিষ্ঠান কাজের পরিমাণ কমিয়ে কর্মীদের ছাঁটাই করতেও বাধ্য হয়েছে। মহামারীকালে ২০২০ সালের জুনের পর বিনিয়োগের পরিমাণ সর্বনিম্নে নেমেছে গত আগস্টে। এ সময় তহবিল সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ৪৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। অথচ ২০২০ সালের জুনে অর্থনৈতিক অচলাবস্থার সময়ও ৪১ কোটি ৬০ লাখ ডলার অর্থায়ন পেয়েছিল স্টার্টআপ কোম্পানিগুলো।

গত বছরের প্রথম নয় মাসের তুলনায় ২০২৩ সালের একই সময়ে করা চুক্তির মূল্য প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ২৭০ কোটি ডলার বিনিয়োগ পেয়েছিল স্টার্টআপগুলো। এ বছর তা কমে নেমেছে ৮৮০ কোটি ডলারে। চলতি বছর সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে গত মে মাসে। এ সময় ৮৯টি চুক্তির মাধ্যমে মোট ১৫৫ কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহ করে কোম্পানিগুলো।

তৃতীয় প্রান্তিকে ১০০ কোটি বা তার বেশি ডলারের মেগাডিলের সংখ্যা ছিল মাত্র পাঁচটি, আগের প্রান্তিকে যার সংখ্যা ছিল নয়টি। মুদিপণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জিপটো এ বছরের সর্বোচ্চ ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ পাওয়া ইউনিকর্ন স্টার্ট আপে পরিণত হয়েছে।

খাত হিসেবে তৃতীয় প্রান্তিকে সফটওয়্যার শিল্পে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে। এ সময় ৩৬টি চুক্তিতে ৬০ কোটি ৮ লাখ ডলার তহবিল টেনেছে খাতটি। তবে দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় এ শিল্পে বিনিয়োগ কমেছে ১৩ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকে সফটওয়্যার খাতে ৬৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার বিনিয়োগ এসেছিল। সফটওয়্যারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে পারফিওস। প্রতিষ্ঠানটি প্রাইভেট ইক্যুইটি ফার্ম কেদারা ক্যাপিটাল থেকে ২ হাজার ২৯০ লাখ ডলার সংগ্রহ করেছে।

বিনিয়োগবার্তা/এমআর//


Comment As:

Comment (0)