ক্রিটো: দেশের প্রথম মাল্টিমোডাল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স
তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক: টেক দুনিয়ার সাথে তাল মেলাতে বাংলাদেশের কয়েকজন তরুণের আবিষ্কার দেশের প্রথম মাল্টিমোডাল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম- ক্রিটো (Kreeto, প্ল্যাটফর্ম লিংকঃ www.kreeto.com)। এটি এমন একটি ইন্টেলিজেন্স যা আপনার আদেশে টেক্সট, আর্টিকেল, ব্লগ ইত্যাদির পাশাপাশি কোডিং, ছবি, মিউজিক, ভিডিও, টেক্সট থেকে স্পিচ ও স্পিচ থেকে টেক্সট তৈরির করে দিবে।
সাধারণত যে সকল জেনারেটিভ এআই প্লাটফর্ম গুলো একাধিক কাজ করে অর্থাৎ লেখা, ছবি, মিউজিক, ভিডিও ইত্যাদি তৈরি করার সুবিধা দিয়ে থাকে সে প্লাটফর্ম গুলোকে মাল্টিমোডাল এআই প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
কোম্পানির নির্মাতারা ওয়েবসাইটটিকে ব্যাখ্যা করেছেন ‘বাংলাদেশের প্রথম মাল্টিমোডাল এআই প্ল্যাটফর্ম’ হিসেবে। এ ছাড়া, গোটা বিশ্বেই হাতে গোনা কয়েকটি মাল্টিমোডাল ওয়েব প্ল্যাটফর্ম রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্মাতারা।
ক্রিটোকে নির্মাতারা গল্পের ছলে মানুষের কাছে এনেছে। ক্রিটো আধুনিক এক গ্রহের বাসিন্দা হলেও ঘুরতে এসে পৃথীবিতে হারিয়ে গেছে। এখন সে তার অত্যাধুনিক টেকনলোজি দিয়ে পৃথীবির মানুষদের সাহায্য করছে ক্রিটোর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
ক্রিটো’র লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুসারে, এতে রয়েছে ২০ টি আলাদা চ্যাট বট অ্যাভাটার, যারা আলাদা আলাদা বিষয়ে পারদর্শী। এদের আছে আলাদা আলাদা নামও। মোটিভেশন থেকে রিসার্চ, ফটোগ্রাফি থেকে পেশাগত পরামর্শ, এমনকি এমবিবিএস ডাক্তার থেকে নিউরোসার্জন বিশেষজ্ঞ পর্যন্ত এক্সপার্ট চ্যাট বট অ্যাভাটার আছে ক্রিটোতে। যে কেও পড়ালেখা, রিসার্চের কাজে, কন্টেন্ট লেখা বা ভয়েস দেয়ার কাজে ক্রিটোকে ব্যবহার করতে পারবে।
ক্রিটোর আরেকটি অংশ, ক্রায়োসিন্থ ১৩০ টি ভাষায় অবিকল মানুষের মত করে কথা বলতে পারে। এটি যেকোনো অডিও ফাইল শুনে আপনা আপনি লিখে দিয়ে পারে কি বলা হচ্ছে অডিওতে। সাবটাইটেল বানাতে এবং ইউটিউব ভিডিও বানাতে ক্রিটোর ক্রায়োসিন্থ খুবই কার্যকরি বলে দাবী করেছেন নির্মাতারা।
এই একই ওয়েব প্ল্যাটফর্মে ‘ক্রিজেন এআই ইমেজেস’ নামের ইমেজ জেনারেটর ফিচার রাখা হয়েছে, যেখানে সহজ টেক্সট প্রম্পটের মাধ্যমেই বিভিন্ন চমকপ্রদ ছবি তৈরি করা সম্ভব। ক্রিজেনে অতি শীঘ্রই ভিডিও জেনারেশনের ফিচারও চালু করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতারা।
অন্যান্য এআই প্ল্যাটফর্মের চেয়ে শক্তিশালী ও বেশি ফিচার সমৃদ্ধ হলেও এই প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারের খরচ একদমই কম। এমনকি একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত এর ব্যবহার একদম ফ্রি। অভিনব আইডিয়ার দিয়ে ইতোমধ্যে “গ্লোবাল স্টুডেন্টস অন্ট্রাপ্রিনিউরশিপ এওয়্যার্ড” এর সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ক্রিটো। কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে।
কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এআই গবেষক শাহরুখ জায়েদ, আরিফুজ্জামান রায়হান ও পার্থ সাহা। কোম্পানিটিতে এখন খণ্ডকালীন ও দীর্ঘমেয়াদে কাজ করছেন ১১ জন কর্মী। নির্মাতারদের দাবি, তারা প্রায় দেড় বছর এ ওয়েব ইন্টারফেস নিয়ে গবেষণা করেছেন।
বিনিয়োগবার্তা/কেএইচকে//