মিহির স্যার

সংশোধিত এডিপি উন্নয়নের প্রতিফলন কি?

ড: মিহির কুমার রায়: বিগত জুন মাসে ঘোষিত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট নির্বাচনী বছরে পড়ায় বাস্তবায়নের দায়িত্ব  দুটি সরকারের আওতায় আসায় বাজেট অর্থ ব্যয়ে সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে যার পরিনামে এডিপির আকার ১৮ হাজার  কোটি টাকা কমছে যা কাম্য ছিলনা। কারন উন্নয়ন খাতে এমনিতেই বরাদ্ধ কম, তারপর বরাদ্ধকৃত বাজেট যদি  উন্নয়নে কাজে না লাগে তাহলে সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনীর্মানের লক্ষ্য কিভাবে পূরন হবে? এখানে উল্লেখ্য যে বর্তমান আর্থিক বছরে এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ১ লাখ ৬৯ হাজার  কোটি, বৈদেশিক সহায়তার ৯৪ হাজার কোটি এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ১১ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। চলতি  অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ১১ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে  এ হার ছিল ২৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। এ ছাড়া, করোনা মহামারির মতো লকডাউন পরিস্থিতিতেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই  হার ছিল ৩২ দশমিক ০৭ শতাংশ। তবে চলতি অর্থবছরের সাত মাসে টাকার অংকে খরচ বেশি হয়েছে। এই সময়ে মন্ত্রণালয়  ও বিভাগগুলো ব্যয় করেছে ৭৪ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় হয়েছিল ৭২ হাজার ৯০  কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭১ হাজার ৫৩৩ কোটি, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬১ হাজার ৪৯ কোটি এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যয় হয়েছিল ৬৮ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা।

সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্র সাধনের প্রভাব পড়েছে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে। ৭ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন মাত্র ২৭ শতাংশ। গেল জানুয়ারি পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার গত ১৪ বছরের একই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে কম। অর্থ সংকট ছিল না– এমন প্রকল্পের অগ্রগতিও আশানুরূপ নয়। অগ্রাধিকার পাওয়া মেগা প্রকল্পগুলোর কাজও চলছে ঢিমে তালে। ব্যয় করতে না পারায় বিদেশি ঋণের অর্থ ছাড় কমিয়ে দিয়েছেন উন্নয়ন সহযোগীরা। এ বাস্তবতায় চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) বড় অঙ্কের কাটছাঁট আসছে। সরকারের অগ্রাধিকার দেওয়া ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত সহ ১০ বড় প্রকল্পের বরাদ্দও কমানো হচ্ছে। এবারই প্রথম সরকারি উৎসের অর্থ কমানো হচ্ছে। উন্নয়ন সহযোগীদের দেওয়া ঋণের  অর্থও কমানো হচ্ছে বড় অঙ্কে। দুই উৎস মিলে কমানো হচ্ছে মোট ১৮ হাজার কোটি টাকা। এতে সংশোধনের পর এডিপির আকার দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ মূল এডিপিতে ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ কমে যাচ্ছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে এডিপিতে সরকারের নিজস্ব উৎসের বরাদ্দ রয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। আরএডিপিতে এ উৎসের বরাদ্দ ৭ হাজার কোটি টাকা কমানো হচ্ছে। এতে সংশোধিত এডিপিতে নিজস্ব উৎসের অর্থের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। অন্যদিকে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে পাওয়া ঋণ সহায়তা কমানো হচ্ছে ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। অর্থ বরাদ্দ কমানোর ফলে সংশোধিত এডিপির আকার দাঁড়াচ্ছে ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। মূল এডিপিতে বৈদেশিক অর্থায়নে বরাদ্দ রয়েছে ৯৪ হাজার কোটি টাকা। আইএমইডির প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত সাত মাসে এডিপির মোট বাস্তবায়ন হয়েছে ২৭ দশমিক ১১ শতাংশ। এর মধ্যে সরকারি খাতের ২৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ, বৈদেশিক সহায়তার ৩০ দশমিক ২০ এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিলের ২৭ দশমিক ৮০ শতাংশ। এর আগে, ২০২১-২২ অর্থবছরে জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়েছিল ৩০ দশমিক ২১ শতাংশ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এডিপি বাস্তবায়নে এগিয়ে থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হচ্ছে- দুর্নীতি দমন কমিশন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং সুরক্ষা সেবা বিভাগ। আর পিছিয়ে থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হলো- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্য-শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।

এডিপি বাস্তবায়ন পরিস্থিতি ও কাটছাঁটের এসব প্রস্তাব সম্পর্কে সামগ্রিক মূল্যায়নে অর্থনীতিবিদদের ভাষ্য হলো অর্থ সরবরাহ,  বাস্তবায়ন পরিস্থিতি ও রিজার্ভে সংকটের যে বাস্তবতা, তাতে স্থানীয় উৎসের চেয়ে বিদেশি ঋণের ব্যবহার বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন ছিল, পাইপলাইনে থাকা ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ অব্যবহৃত আছে। এই অর্থের ব্যবহার বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল। আরএডিপি প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের বক্তব্য,  মূল এডিপির তুলনায় সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ অনেক কম চেয়েছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো। এডিপি ও  আরএডিপিতে বরাদ্দ চাহিদার এত বেশি ব্যবধান আগে কখনও দেখা যায়নি। কমিশনের মতে, বিভিন্ন কারণে গত  সাত মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার অত্যন্ত কম থাকায় এমনটি হয়েছে। সরকারের কৃচ্ছ্র নীতির কারণে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কিছু  কেনাকাটা বন্ধ রয়েছে। এসব কারণে এবার এডিপি বাস্তবায়নে গতি অনেক কম। বরাদ্দ কমানো-বাড়ানোর ক্ষেত্রে  প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিবেচনা করা হয়েছে।

সার্বিক বিশ্লেষনে দেখা যায় যে নির্বাচনী বছরে এই ধরনের পরিস্থিতি কোন অস্বাভাবিক ঘটনা নয়।  কারন সরকারের বাস্তবায়ন কাঠামো অনেক শৈথিল্যের পরিচয় দিয়েছে যার প্রভাব প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রতিফলিত হয়েছে। এখন সংশোধিত এডিপি বাস্তবায়নে নতুন সরকার পাবে চার মাস এবং পরিকল্পনা কমিশনে ও অর্থমন্ত্রনালয়ে নতুন মন্ত্রীগন  দায়িত্ব নিয়েছেন গত জানুয়ারীতে। এখন যে কাজগুলো জরুরী ভিত্তিতে করতে হবে তা হলো: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়নের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জর মধ্যে লক্ষ্য কেন্দ্রীক রাজস্ব আহরন,  অবকাঠামোগত উন্নয়ন,  অগ্রধিকারভিত্তিক সরকারি ব্যয় নির্ধারন, ঘাটতি বাজেটের আর্থিক ব্যবস্থাপনায়, বৈদেশিক ঋন প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা, ব্যাক্তি  ঋনের প্রতিবন্ধকতা, রফতানী আমদানী বানিজ্যে সমতা আনয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সঞ্চয় বিনিয়োগের ভারসাম্য রক্ষা ইত্যাদি  চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে যা একেবারেই দৃশ্যমান এখন বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা রোডম্যাপ তৈরি, রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা ও  জবাবদিহিতা, প্রকল্পের গুনগত বাস্তবায়ন ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করলে অনেক চ্যালেঞ্জই মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। 
এখন প্রশ্নটি হলো তা কিভাবে সম্ভব? প্রধানমন্ত্রী নতুনভাবে ক্ষমতা গ্রহনের পর বলেছেন বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব হবে এবং  অর্থমন্ত্রী বলেছেন অর্থের কোনরকম অভাব হবে না। এখন বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা মানেই এর সাথে সংযুক্ত জনশক্তি  তথা প্রতিষ্ঠানিক কাঠামোর সক্ষমতা যা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে যা সরকার অবগত আছে। কিন্তু এর  উন্নয়নের গতিধারায় কবে নাগাদ এই সক্ষমতা একটি গ্রহনযোগ্য পর্যায়ে পৌছাবে তা বলা দুস্কর কিন্তু দেশ উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে যে গতিতে তার চেয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধির গতি আরও বাড়ানো প্রয়োজন। এর জন্য প্রশিক্ষন ও তদারকির কোন বিকল্প  নেই সত্যি কিন্তু একটি রোডম্যাপ ধরে আগাতে হবে। প্রায়শই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এন,বি,আর,) এর  সক্ষমতা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীভূক্ত প্রকল্পগুলোর ব্যয় দক্ষতা/ব্যয়ের মান নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন শোনা যায় বিশেষত;  অর্থনীতিবিদদের কাছ থেকে যার ভিত্তিগুলো সরকারকে আমলে নেয়া উচিত। কারণ রাজস্ব  আয়ের আহরণের একটি বড় প্রতিষ্ঠান হলো এন,বি,আর যার সাথে সরকারের স্থায়ীত্বশিলতার প্রশ্নটি জড়িত। সে ক্ষেত্রে উক্ত  প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নৈতিক ভিত্তি তথা প্রশাসনিক কাঠামো আরো জোরদার করতে হবে, নতুন নতুন করদাতা সংগ্রহ  উপজেলায় অফিস স্থানান্তর করতে হবে এবং বেশী বেশী কর মেলার আয়োজন নতুন অঞ্চলগুলোতে করতে হবে। 
আবার উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন দক্ষতা বৃদ্ধি, ব্যয়ের মান উন্নয়ন ও অব্যাহত দুর্নীতি প্রতিরোধে উদ্যোগী মন্ত্রনালয়, বাস্তবায়নকারী সংস্থা, পরিকল্পনা কমিশন, অর্থ মন্ত্রনালয়ের অর্থ অনু বিভাগকে উন্নয়নের সহযাত্রী হিসাবে কাজ করতে হবে।

দ্বিতীয় প্রসংগটি হলো বৈশ্বিক অবস্থার উন্নতি না হলে  দেশের আমদানী-রফতানীতে পুর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে সময় লাগবে তার সাথে যুক্ত হতে পারে বৈদেশিক ও আভ্যন্তরীন বিনিয়োগে স্থবিরতা, কর্মহীনতা, ভোগ চাহিদা ও সরবরাহ  চেইনে বাধাগ্রস্থতা, রাজস্ব আদায়ে স্থবিরতা ইত্যাদি। বর্তমান সরকার যে গতিতে এই পরিস্থিতির  মোকাবেলা করছে তা আন্তর্জ্যাতিকভাবে প্রশংশীত হয়েছে এবং অর্থনীতি আবার ঘোরে  দাড়াতে পাড়বে কারন প্রবৃদ্ধির  চেয়ে এখন টিকে থাকাটাই বিবেচ্য বিষয়;  

তৃতিয়ত: আয়কর আইনের পরিবর্তনের ফলে প্রত্যক্ষ কর কমে যেতে পারে এবং কাল টাকার সাদা করার বিষয়টি উন্মোক্ত  করায় এই সুযোগটিও সদ্ব্যবহার করা উচিত। বিভিন্ন সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে ষোল বার এই সুযোগটি দেয়া হয়েছিল কিন্তু  এতে ভাল ফল পাওয়া যায় নি। রফতানি শুল্ক হারে যে সকল পরিবর্তন এসেছে তা বিনিয়োগ তথা ব্যবসা বান্দব বিশেষত:  করোনার সৃষ্ট অর্থনৈতিক অবস্থা ও ব্যবসায়ীদের চাহিদার বিবেচনায়। কিন্তু ইন্টারনেট ও সিম ব্যবহারে যে মুসক বৃদ্ধি  করা হয়েছে তাতে হয়ত রাজস্ব বাড়বে কিন্তু সমালেচনা বাড়বে অনেক বেশী। আমানতকারীদের ব্যাংক হিসাব থেকে এক্সাইজ কর  কেটে নেয়া অজনপ্রিয় আর একটি পদক্ষেপ যা আমানতের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। বড় বাজেট কোন সমস্যা নয়,  বাস্তবায়নের সক্ষমতা বাড়াতে হবে, অপচয় কমাতে হবে। 

চতুর্থ: অর্থনিতিবীদগন বলছেন প্রতিবছরই এডিপি বাস্তবায়নের হার প্রথম ৬-৭ মাসে অনেক কম থাকে যা শেষের দিকে তড়িৎ গতিতে বাড়ানো হয় যেখানে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন সবসমই রয়ে যায়। তাছাড়া প্রশাসনিক দক্ষতা, জবাবদিহিতার অভাবে এডিপি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয় না। তাদের মতে বর্তমান পরিস্থিতিতে যে মন্ত্রনালয়গুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কথা, সেগুলোই সবচেয়ে অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে অর্থাৎ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় হিসেবে স্বাস্থ্য বিভাগ সবচেয়ে কম এডিপি বাস্তবায়ন করেছে, যা একটি উদ্বেগের বিষয়। এডিপি বাস্তবায়নে ধীর গতির জন্য একটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। যেসব প্রকল্প পরিচালক সময়মতো কাজ বাস্তবায়ন করছেন তাদের পুরস্কার এবং যারা করছেন না তাদের তিরস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নের গতি অনেক ধীর আছে। অর্থবছরের শেষ দিকে বাস্তবায়নের হার বাড়বে কেননা, পূর্ত কাজ বা পণ্য কেনার সঙ্গে সঙ্গেই বিল পরিশোধ করা হয় না। প্রচলিত নিয়ম মতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অর্থবছরের শেষ দিকে এসে বিল পরিশোধ করা হয়। এখন এডিপি এর বাস্তবায়ন বাড়াতে যা যা পদক্ষেপ নেয়া যায় সরকার এ ব্যাপারে সচেষ্ট রয়েছে।

লেখক: অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও সাবেক জৈষ্ঠ্য সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবীদ সমিতি, ঢাকা।

বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই/এসএএম//


Comment As:

Comment (0)