Arab League Gaza Rebuild

আরব লীগের শীর্ষ সম্মেলনে গাজা পুনঃনির্মাণ পরিকল্পনা অনুমোদিত

ডেস্ক রিপোর্ট: ইসরাইলি আগ্রাসনে ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজা উপত্যকা পুনঃনির্মাণের ব্যাপারে মিশরের তৈরি একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে আরব লীগ। গাজার ফিলিস্তিনি অধিবাসীদের যাতে এই উপত্যকা ত্যাগ করতে না হয় সে লক্ষ্যে আরব দেশগুলো সম্মিলিতভাবে এই পরিকল্পনা অনুমোদন করল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা আমেরিকার দখলে নিয়ে নেয়ার যে হুমকি দিয়েছিলেন, দৃশ্যত তা প্রতিহত করার লক্ষ্যে আরব লীগ এ সিদ্ধান্ত নিল। ট্রাম্প গাজার ২৩ লাখ অধিবাসীকে সম্পূর্ণ বিতাড়িত করে সেখানে পর্যটন রিসোর্ট গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন।

মিশরের রাজধানী কায়রোয় মঙ্গলবার (৪ মার্চ) আরব লীগের একটি জরুরি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে আরব রাষ্ট্রপ্রধানদের পাশাপাশি, কোনো কোনো দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন।

সম্মেলনের উদ্বোধনি ভাষণে মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেন, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে গাজাবাসীর তাদের ভূখণ্ডে থেকে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

মিশরের পরিকল্পনায় গাজা পুনঃনির্মাণের জন্য পাঁচ-বছর মেয়াদি রোডম্যাপ রয়েছে যা বাস্তবায়ন করতে আনুমানিক ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও গাজা পুনঃনির্মাণের জন্য মোটামুটি এরকম ব্যয়ের কথাই বলা হয়েছিল।

আরব লীগ যে পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে তার প্রথম পর্যায়ে অবিস্ফোরিত বোমা ও ধ্বংসস্তুপ পরিষ্কার করার পাশাপাশি গাজাবাসীর জন্য অস্থায়ী আবাস তৈরি করা হবে। এ কাজে ছয় মাস সময় লাগবে এবং এতে ব্যয় হবে তিন বিলিয়ন ডলার। এরপর ২০২৭ সাল নাগাদ গাজার জরুরি অবকাঠামো ও যতটা পারা যায় স্থায়ী আবাস নির্মাণ করে ফেলা হবে। এ কাজে ব্যয় হবে ২০ বিলিয়ন ডলার। এবং সবশেষে ২০৩০ সাল নাগাদ অবশিষ্ট অবকাঠামো, আবাসিক ভবন এবং শিল্প ও বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ শেষ করা হবে। ওই কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ বিলিয়ন ডলার।

কায়রো সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে গাজা পুনঃনির্মাণ পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, এ কাজে জাতিসংঘ পূর্ণ সহযোগিতা দেবে।

তবে গাজা যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের বাস্তবায়ন নিয়ে যখন হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে তীব্র মতপার্থক্য চলছে এবং তেল আবিব গাজার জন্য ‘জাহান্নামের দরজা’ খুলে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে তখন এই উপত্যকার পুনঃনির্মাণ পরিকল্পনা কতটা কার্যকর করা যাবে তা নিয়ে পর্যবেক্ষকরা সংশয় প্রকাশ করেছেন। সূত্র: পার্সটুডে।

বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//


Comment As:

Comment (0)