রায়পুরা স্বাস্থ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীর রায়পুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) দিলীপ কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ চরমে উঠায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ড. হেলাল উদ্দিন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রায়পুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) দিলীপ কুমার বিশ্বাস উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নে অবস্থিত ৫৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনসহ বিভিন্ন সরকারী বরাদ্ধকৃত টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।

আরো জানা যায়, রায়পুরা উপজেলার ৫৪টি কমিউনিট ক্লিনিকের ওষুধ পরিবহণ, ষ্টেশনারী মালামাল, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা,কমিউনিট ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ও বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালনের সরকারী বরাদ্দ টাকা ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।

এছাড়াও বিভিন্ন জাতীয় দিবস, কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ, জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ ও ক্ষুদে ডাক্তার কর্তৃক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম উপলক্ষ্যে বরাদ্দ টাকা ও ইপিআই কাজের সরকারী বরাদ্দ টাকা স্বাস্থ্য সহকারীদেরকে সঠিক ভাবে না দিয়ে উক্ত বরাদ্দের টাকাও নিজে আত্মসাৎ করেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, দিলীপ কুমার তার অনুসারী কর্মচারীদের একতরফা ভাবে সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। তারা মাঠের কাজ ও কমিউনিটি ক্লিনিকে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছেন ও অন্যান্য সুবিধা পাচ্ছেন। বিনিময়ে প্রতিমাসে তাদের কাছ থেকে পাচ্ছেন মাসোহারা তিনি। এ বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে দেওয়া হয় কারণ দর্শানোর নোটিশ, হয়রানিমূলক ভিজিট ও বন্ধ করে দেওয়া হয় তাদের বেতন ভাতা। তাছাড়া তিনি কয়েক জন সিএইচসিপির কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা নিচ্ছেন। বিনিময়ে তাদের ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে না। এমন হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের একজন হলেন নাসরিন আক্তার। তিনি সপ্তাহে ২ দিন ক্লিনিকে যান। বাকী ৪ দিন সাব রেজিস্ট্রী অফিসে দলিল লেখকের কাজ করেন।

এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির সদস্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ আমিনুল হক শামীমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি তদন্তাধীন বিষয়ে কোনো কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান নরসিংদী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইব্রাহিম টিটন জানান, কয়েকদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, রায়পুরায় স্বাস্থ্য বিভাগের আমুল পরিবর্তনের চেষ্টা করে যাচ্ছি।

দিলীপ কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে কয়েকবার মোবাইলে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া গেলেও বার বার তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগটি কেটে দেন।

(এসএইচআর/জেএইচ/ ১০ অক্টোবর ২০১৮)


Comment As:

Comment (0)