মেলায় এসেছে ১৪৬ নতুন বই

প্রতিবেদক, বিনিয়োগবার্তা, ঢাকা: অমর একুশে বইমেলার ২৪তম দিনে নতুন বই এসেছে ১৪৬টি। মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে ৫৩টি নতুন বইয়ের। মেলায় ছিল আজ শিশুপ্রহর।

অমর একুশে উদযাপন উপলক্ষে সকাল ১০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার।

বিচারকমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে ছিলেন শিল্পী কল্যাণী ঘোষ, সালাহউদ্দীন আহমেদ, কিরণচন্দ্র রায়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। প্রতিযোগিতায় ‘ক’ শাখায় প্রথম হয়েছে মাহির আবিদ অক্ষ, দ্বিতীয় সিনাতা আহেমদ রিসা এবং তৃতীয় হয়েছে দিবা রানী দেব অর্পা। ‘খ’ শাখায় প্রথম হয়েছে অনামিকা সরকার সোমা, দ্বিতীয় মাশুক কায়সার ইভান এবং তৃতীয় হয়েছে তানিশা জাহান নরিকা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতা কমিটির আহ্বায়ক রহিমা আখতার কল্পনা।

বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘ব্যারিস্টার আবদুল রসুল : জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মামুন সিদ্দিকী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন তাবেদার রসুল বকুল ও সুভাষ সিংহ রায়। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া ভূঁইয়া।

মামুন সিদ্দিকী বলেন, ‘বিশ শতকের প্রথম দুই দশক বাংলার সমাজ ও রাজনীতিতে আবদুল রসুল একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। হিন্দু-মুসলিম ঐক্য ও সম্প্রীতি, ধর্মনিরপেক্ষ  রাষ্ট্রভাবনা, অর্থনৈতিক মুক্তি, স্বায়ত্বশাসন ইত্যাদি প্রসঙ্গে তার চিন্তাধারা ও ভাবাদর্শ বাঙালি সমাজকে বিপুলভাবে নাড়া দিয়েছিল। উন্নত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে তার চিন্তাধারা সমকালে ততটা গুরুত্ব লাভ না করলেও উত্তরকালে, এমনকি আজও তার বিপুল প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলন, স্বদেশী আন্দোলন এবং সংবাদ-সাময়িকপত্র প্রকাশনা ও নানাবিধ সমাজকর্মের মাধ্যমে তিনি একটি আদর্শ সমাজ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন’।

আলোচকরা বলেন, বাংলার রাজনীতির বিচিত্র পরিক্রমায় ব্যারিস্টার আবদুল রসুল এক ব্যতিক্রমী নাম। তিনি যেমন বাংলার রাজনীতির ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র গঠন করতে চেয়েছেন, তেমনি জনলগ্নতাকে তাঁর রাজনৈতিক ভাবনার কেন্দ্রে প্রতিস্থাপন করেছেন। আজকের রাজনৈতিক বাস্তবতাকেও তার জীবন-দর্শন এক প্রাসঙ্গিক বিষয়।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া ভূঁইয়া বলেন, ‘ব্যারিস্টার আবদুল রসুল একজন অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে নিজের অনন্য ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলেছিলেন। বঙ্গভঙ্গবিরোধী জনমত সংগঠনে তার ভূমিকা বাংলার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

(এসএএম/ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)


Comment As:

Comment (0)