উচ্চশিক্ষায় সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা চালু করা উচিত
মুনতাসীর মামুন: আমাদের দেশে অনেক গরিব মেধাবী ছাত্র ছাত্রী আছে যাদের আর্থিক দূরাবস্থার কারণে উচ্চশিক্ষা বিঘ্নিত হয়। যার কারণে অনেকের পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে ফেলতে বা অন্যের কাছ হাত পাততে হয়। এই যে কুয়েটের ৩য় তৃতীয় বর্ষের একজন ছাত্র হলের ফি পরিশোধ না করতে পারায় তার সেন্ট্রাল পরীক্ষার ভাইভা নেয়া হলো না, যার শেষ পরিণতি হলো আত্মহত্যা। তাছাডাও আমাদের সমাজে একজন কামাই করে এবং তার উপর ৫-৬ জন নির্ভর করে, এটা যে কত বাজে সামাজিক ব্যবস্থা যারা ভুক্তভোগী শুধু তারাই জানে। পিতা মাতা মারা গেলে বা বৃদ্ধ হয়ে গেলে তার উপর নির্ভরশীলদের বড় সন্তান বা আত্মীয় স্বজনের উপর দায়িত্ব গিয়ে বর্তায়। সে ক্ষেত্রে বড সন্তান বা অন্য আত্মীয় যারা তাদের দায়িত্ব নেয় সে দায়িত্বশীল ব্যক্তির আর পারিবারিক জীবন আর থাকে না। ভাই-বোন বা ভাতিজা-ভাতিজি বা ভাগনে- ভাগনি নিয়ে একসাথে থাকার ফলে যেমন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব ও দ্বন্দ্ব কলহের সৃষ্টি হয় এবং তেমনিভাব তার প্রভাব পড়ে সন্তান ওপর।
উন্নত দেশগুলোতে এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য রয়েছে সহজ শর্তে শিক্ষা ঋনের ব্যবস্হা। পড়াশোনা শেষ করে চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত এই ঋণের উপর কোন সুদ যোগ হবে না। চাকরি পেলে সহজ কিস্তিতে সুদসহ তা পরিশোধ করতে হবে। এ কারণে আত্মীয় স্বজন তো দূরের কথা উন্নত দেশগুলোতে বাবা-মারও উচ্চশিক্ষার জন্য সন্তানের দায়িত্ব নিতে হয় না। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাটাই এমন- ছাত্ররা ঋণ নিবে, পড়াশোনা করবে এবং চাকরি পেয়ে ঋণ পরিশোধ করবে।
তাই উন্নত দেশগুলোর আদলে আমাদের দেশের গরিব ও আত্মীয়স্বজনের উপর নির্ভরশীল ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশের ন্যায় সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা চালু করা উচিত।
লেখক: প্রকৌশলী ও গবেষক।
বিনিয়োগবার্তা/এসএল/এসএএম//