মিহির কুমার রায়

স্বাগতম ভাষার মাস ও বই মেলা

ডঃ মিহির কুমার রায়: শুরু হয়েছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজপথে যারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তাদের অমলিন স্মৃতি স্মরণের মাস ফেব্রুয়ারি। বাঙালির কাছে এই মাস ভাষার মাস, দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হওয়ার মাস। তাই তো বাঙালি জাতি নানা আয়োজনের মাধ্যমে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে ভালোবাসা জানাবে ভাষাশহীদদের প্রতি। 

১৯৫২ সালে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারসহ অনেকে বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে মাতৃভাষাকে রক্ষা করেন। মায়ের ভাষা কেড়ে নেয়ার এই সংগ্রামে সেদিন ছাত্র-জনতা একসঙ্গে রাজপথে নেমে পড়েছিলেন। 

পৃথিবীর ইতিহাসে ভাষা নিয়ে এমন আন্দোলন আর কোথাও হয়নি। ভাষার জন্য এই আত্মত্যাগ পৃথিবীতে বিরল। এই আত্মত্যাগ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর। এদিন জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ঘোষণা করে। তারপর থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বব্যাপী পালন হয়ে আসছে।

এই ভাষার মাসের অন্যতম আকর্ষন হলো বইমেলা এবং এই মাসের প্রথম দিন পহেলা ফেব্রুয়ারী বুধবার রাজধানীর বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী এ আয়োজনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

বাংলা একাডেমি আয়োজিত এ বছরের বইমেলার প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।’ এর আগে জাতীয় সঙ্গীত এবং অমর একুশের সঙ্গীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ সমবেত কণ্ঠে পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপরই সবাই ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। ১৯৭২ সালে ৮ ই ফেব্রুয়ারী বাবু চিত্তরঞ্জন সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ধমান হাউজ এলাকায় বই মেলার উদ্ভোদন করেছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত সাতটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী যার মধ্যে রয়েছে- শেখ হাসিনা সম্পাদিত শেখ মুজিবুর রহমান রচনাবলি-১, কারাগারের রোজনামচা পাঠ বিশ্লেষণ, অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠ বিশ্লেষণ ও আমার দেখা নয়াচীন পাঠ বিশ্লেষণ, রাষ্ট্রপতি
আবদুল হামিদ রচিত আমার জীবন নীতি, আমার রাজনীতি এবং জেলা সাহিত্য মেলা ২০২২ (১ম খণ্ড)।

অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং আরও বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর।

বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা, অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বুধবার বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২২ প্রাপ্ত ১৫ জন কবি, লেখক ও গবেষকের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন ।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন থেকে নান সংগ্রামের পরিক্রমায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ভাষাভিত্তিক বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা সারা বিশ্বের মানুষের কাছেই এক মহাবিষ্ময়কর ব্যাপার হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল।

আবেগময় এই ভাষণ থেকে বেড়িয়ে আসে বাংলা ভাষাকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রাম যা ১৯৪৭ এর দেশ বিভক্তির পর থেকে শুরু হয়ে ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারীর চূড়ান্ত রূপ নেয় যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রাম সহ স্বাধীন সার্ভবৌম রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা মূল চার নীতি যথাক্রমে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদের উপর ভিত্তি করে। 

একুশের ভাষা আন্দোলন আমাদের শিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ যা প্রতি বিছর কালের বৈচিত্রে শীত- বসন্তে আমাদের কাছে উপস্থিত হয় বহুমাত্রিকতায় যাকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন প্রাণের মেলা যা এই মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে।

বাংলা একাডেমি সূত্র মতে, বইমেলা ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। তবে, দর্শক, ক্রেতা ও পাঠকরা রাত সাড়ে ৮টার পরে মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকতে পারবেন না। 

সরকারি ছুটির দিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং দুপুরে খাবার ও নামাজের জন্য এক ঘণ্টা বিরতি থাকবে।২১ ফেব্ধসঢ়;রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টা এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। 

এবার বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায়। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি ইউনিট অর্থাৎ মোট ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে ১০১টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। 

মেলায় ৩৮টি প্যাভিলিয়ন থাকছে। এদিকে এবার বইমেলার আঙ্গিকগত ও বিন্যাসে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে গতবারের মূল প্রবেশপথ এবার একটু সরিয়ে বাংলা একাডেমির মূল প্রবেশপথের উল্টো দিকে অর্থাৎ মন্দির গেটটি মূল প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

গতবারের প্রবেশপথটি বাহির-পথ হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। এছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে আরো ৩টি প্রবেশ ও বাহির-পথ থাকবে।

প্রধানমন্ত্রীর একটি উক্তি এখানে প্রাসঙ্গিক যেমন তিনি বলেছিলেন প্রিয়জনকে বই উপহার দিন, কারণ বই জ্ঞানের প্রতীক, বই আনন্দের প্রতীক এবং বই ভালোবাসার প্রতীক। 

রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত দেশের সরকারপ্রধান থেকে আসা একটি বাণী নিশ্চয়ই জাতির কাছে অনেক অর্থবহ বলে বিবেচিত। একটি সময় ছিল বই উপহারের তালিকায় প্রথম স্থান অধিকারী অর্থাৎ জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় বইই একমাত্র জীবন সাথী যার বিকল্প ছিল বলে মনে পড়ে না।

কারণ মানবদেহের যে মনোজগৎ তার প্রধান খাদ্য হলো বই থেকে আহরিত জ্ঞান যা একজনকে আলোকিত করে, উজ্জীবিত করে এবং বস্তুকেন্দ্রিক জীবন বোধ থেকে বের করে নিয়ে আসেমেলায় এসে অনেকে বই কেনেন। এর প্রভাব পড়ে মেলায় আগত মানুষের ওপর। যে কোনো মেলায় সমবেত হওয়ার মননগত প্রবণতা আছে বাঙালির। 

মেলায় মিলিত হওয়ার যে আনন্দ তা অন্যত্র পাওয়া যায় না। বইমেলায় বই কেনার গরজেই শুধু মানুষ আসেন না, আসেন সাংস্কৃতিক পীঠস্থান, উৎসবে মিলিত হওয়ার আনন্দে। তারপর বইও কেনেন। যারা মেলা থেকে বই কেনেন, তারা কেউ কেউ হয়তো কোনোদিনও বই বিপণিতে গিয়ে বই কিনতেন না। এটা বইমেলার গুরুত্ব। 

বই পড়ার আনন্দ তীব্র। বই পড়ার মধ্যে আনন্দই পেতে চাই। আনন্দ ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। বই পড়ায় নেশাও আছে। দুটো অভ্যাসেরই দরকার; বই পড়ার ও কেনার। বইয়ের জগৎ ভিন্ন এবং মানুষও ভিন্ন। এই ভিন্ন জগতে যারা বসবাস করে অর্থাৎ লেখক ও পাঠক উভয়েই নিজ নিজ অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিশেষত সমাজভিত্তিক জীবনের কাছে।

যারা বইয়ের লেখক তাদের জীবন বোধ সমাজের আর দশটি মানুষের মতো নয় এবং তাদের সংখ্যাও সীমিত যদিও একটি বইকে সম্পূর্ণ করতে সময় চলে অফুরন্ত। সময়ের আবর্তে এই বইমেলায় স্টলের আধিক্য বেড়েছে বাংলা একাডেমির গণ্ডি পেরিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত।

প্রতিদিনই নতুন বইমেলায় আসছে বিভিন্ন শাখায় যেমন উপন্যাস, গল্প, শিশু সাহিত্য, কবিতা, রম্য রচনা, ভ্রমণ কাহিনী ইত্যাদি যা তথ্য কেন্দ্র থেকে প্রচার করা হচ্ছে নিয়মিতভাবে। 

আবার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা লেখক, দর্শক, কবি সবারই সাক্ষাৎকার নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন এবং নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টিত মেলা প্রাঙ্গণ অনেকের কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যা মুক্তবুদ্ধি বিকাশের পথে অন্তরায়।

প্রতিদিনই বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে টক শো চলছে এই বইমেলার বিভিন্ন নান্দনিক ও মানবিক দিক নিয়ে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন বইমেলা প্রাণের মেলা থেকে সরে আসছে কিনা? কারণ কবি সাহিত্যিকদের আড্ডা দেয়ার সে জায়গাটি তা অনেকাংশে সংকুচিত হয়ে আসছে নিরাপত্তাজনিত কারণে। 

আবার যারা প্রতিষ্ঠিত বয়োজ্যেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিক তাদের আগেকার মতো মুক্ত হাওয়ায় পদচারণার উৎসাহটি আর চোখে পড়ে না। অনেকেই বলছেন, বই প্রকাশের ওপর নজরদারি ও পুলিশি তৎপরতা অনেকাংশে এই সার্বিক পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে প্রতীয়মান।

দেশের প্রধানমন্ত্রীর মতই অনেক সাহিত্যিকই মনে করেন বই মেলা শুধু কেনা বেচা নয় এর সংগে জড়িত রয়েছে দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, গণতন্ত্রের আন্দোলন, জাতীয়তাবাদীর চিন্তা চেতনার প্রকাশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এই গ্রন্থমেলার সংগে জড়িত আছে সংস্থা হিসাবে বাংলা একাডেমী, বই প্রকাশক সংস্থা, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী সংস্থার বই স্টলে, লেখক ও অগণীত পাঠক। এই সকল অংশীদারদের নিজস্ব একটা ব্যবসায়িক দিক রয়েছে শিল্প সংস্কৃতি চর্চার অন্তরালে।

বাংলা একাডেমী তাদের আয়োজনের অংশ হিসাবে যে স্টল বরাদ্দ দিয়ে থাকে সেখান থেকে একটি মোট অংকের টাকা রাজস্ব আসে।

আবার যারা স্টল বরাদ্দ নিয়ে তাদের বই প্রদর্শনের আয়োজন করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে যার মধ্যে রয়েছে পূর্বে আলোচিত প্রকাশক, লেখক, ব্যবসায়ী যাদেরও দিন শেষে আয়-ব্যয়ের একটি হিসাব রাখতে হয় এই মেলাকে ঘিরে।এই বই মেলা নতুন কর্মসংন্থান সৃষ্ঠি করে যার সাথে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা জরিত তথা বেকারত্বের অবসান ঘটায়। সেই হিসাবে একুশে বই মেলা বই বিক্রেতা, প্রকাশক,ছাপাখানা,বই বাইন্ডিংইত্যাদি খাতের সাথে জরিতেদেরও কর্মসংন্থানস্মৃতিতে সহায়তা করে।

এই দিক থেকে ভাষার মাসের গুরুত্ব অপরিসীম যেমন বিগ্যাপন ব্যবসা, দৈনিক পত্রিকা থেকে শুরু কওে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও বই মেলা কেন্দ্রিক বুলেটিন ছাপানো হয় কোটি কোটি টাকার বিঙ্গাপন।

এ ক্ষেত্রে দেখা যায় পণ্য হিসাবে বই ক্রেতার বহুরুপিতা যেমন কেহ ছাত্র- ছাত্রী ,কেহ গবেষক, কেহ সৌখিন ক্রেতা, কেহ আবার কবি সাহিত্যিক, কেহ আবার শিশু শ্রেণির এবং কেহ আবার প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিনিধি যারা নিজের প্রতিষ্ঠানের গ্রন্থাগারকে সমৃদ্ধ করার জন্য ক্রেতা হিসাবে আবির্ভূত হয়। 

ভালো সাহিত্য কিংবা জনপ্রিয় সাহিত্য অথবা ভালো বই কিংবা জনপ্রিয় বই এক কথা নয়। এখন অনেক লেখক কবিতা কিংবা উপন্যাস কিংবা ছড়া লিখে চলছেন এই আশায় যে তিনি একুশে বইমেলায় একটি বিশাল প্রচার পাবেন অর্থাৎ বইমেলার লেখক কিংবা কবি সৃষ্টিতে একটি অবদান রয়েছে সত্যি কিংবা মান নিয়ে বড় আশঙ্কায় সাহিত্য সমালোচক সমাজ যা ক্রম অবনতিশীল। তাই এই ধরনের বই ও বইয়ের মেলা আমাদের সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে কতটুকু ভূমিকা রাখছে বা রাখবে আগামী দিনগুলোতে? এই প্রশ্নগুলোর সমাধান খুজা জুরুরী এবং সরকার প্রধান এই সকল প্রশ্নের সমাধান খুজতে তৎপর রয়েছে । 

আসুন আমরা সবাই মিলে বই মুখি হওয়ার আন্দোলনকে জোরদার করি এবং বাংলা একাডেমির বই মেলা হউক এর প্রধান সহযোগী যা সারাদেশের গ্রামপ্রধান বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।

লেখক: অধ্যাপক (অর্থনীতি), ডিন (ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ) ও সিন্ডিকেট সদস্য, সিটি ইউনিভার্সিটি, সাভার, ঢাকা।

বিনিয়োগবার্তা/এমআর/এসএএম//


Comment As:

Comment (0)