বশির ভাই

সাক্ষাৎকারে বিবিসিসিআই’র সদ্যসাবেক প্রেসিডেন্ট বশির আহমেদ

বিশ্ববাজারে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’

বিশ্ববাজারে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিবিসিসিআই) সদ্য সাবেক সভাপতি বশির আহমেদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়িদের সর্ববৃহৎ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আন্তর্জাতিক যে বিজনেস সামিট হচ্ছে- সেটি খুবই সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ। এ আয়োজনের আমি সংগঠনটিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এ সামিটে দেশিয় উদ্যোক্তারা ছাড়াও ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ব্যবসায়িরা যোগ দিচ্ছেন। এতে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে নতুন মাত্রা যোগ হবে এবং বাংলাদেশে ব্যবসা ক্ষেত্রে যে অমিত সম্ভাবনা রয়েছে- তা বিদেশিরা জানতে পারবেন বলে আমি মনে করি।

সম্প্রতি বিনিয়োগবার্তার সঙ্গে একান্ত আলোচনায় এসব কথা বলেন বিবিসিসিআই’র সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩ এর গুডউইল এম্বাসেডর বশির আহমেদ।

বশির আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে যুক্তরাজ্য থেকে ৪০ জনের একটি ব্যবসায়ি ডেলিগেশন আসছে। তারা বাংলাদেশের সাথে কিভাবে যুক্তরাজ্যের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও প্রসার করা যায়- সে বিষয়ে তাদের মূল্যবান মতামত তুলে ধরবেন। এসময় তারা বাণিজ্য বাড়াতে বিভিন্ন খাতের উদ্যোক্তাদের সাথে স্বশরীরে বৈঠকে মিলিত হবেন। এসব বৈঠকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যা ও সম্ভাবনার চিত্রগুলো উঠে আসবে।

তিনি বলেন, আমি খুবই গর্বিত ও সন্মানিত বোধ করছি যে, এফবিসিসিআই আমাকে বিজনেস সামিটের একজন ‘গুডউ্ইল এম্বাসেডর’ হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন। আমার উপর স্পেসিফিকালি যে দায়িত্বটা দেয়া হযেছে- আমি সেটি পালনে যথাসাধ্য চেষ্ঠা করছি। বিজনেস সামিটে বিভিন্ন ডাইভার্সিফাইড সেক্টর থেকে এবং মেইনস্ট্রিম সোসাইটি থেকে কিছু উদ্যোক্তা ও বক্তা দিয়ে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য আমাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং সেটি আমি পালনের চেষ্ঠা করেছি। যেমন- ব্লু ইকোনমি ইনফ্রাস্ট্রাকচারের জন্য প্রফেসর পেরিল আসছেন। উনি পোর্টসমাউথ ইউনিভার্সিটির একজন সন্মানিত প্রফেসর এবং উনি ইউনেস্কোর একজন কনসালটেন্ট। তিনি এই সম্মেলনে বিশেষ বক্তা হিসেবে থাকছেন। দুবাই থেকে ২ জন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার আসছেন। ব্লক চেইন ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট এর জন্য কিছু নামি-দামি কোম্পানি আসছে এই সামিটে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্যোক্তারা আসছেন। সো আমি খুবই গর্বিত যে, একটা এক্সেলেন্ট টীম আমরা উপস্থাপনা দিতে পেরেছি এফবিসিসিআই’র এই সম্মেলনে।

বিবিসিসিআই’র এই সদ্যসাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ প্রবাসীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সেক্টরের যারা উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী আছেন উনারাও সম্মেলনে স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। বিশেষ করে ডাটা সেন্টার, আইটি, এগ্রিকালচার এবং ট্যুরিজম সেক্টরের জন্য ব্যবসায়ীরা এখানে বিনিয়োগে ব্যাপক আগ্রহ পোষণ করছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই এই সামিটে অংশ নেবেন। সো ইনশাল্লাহ আই উইশ  এফবিসিসিআইয়ের এই উদ্যোগ সফল হোক।

তিনি বলেন, ১১, ১২, ১৩ মার্চের এই প্রোগ্রামে যদি আমরা বাংলাদেশকে প্রোপারলি ব্রান্ডিং করতে পারি তাহলে এটি বাংলাদেশের অগ্রগামী অর্থনীতিতে খুবই সুফলদায়ক হবে বলে আমি মনে করছি।

এক প্রশ্নের জবাবে বশির আহমেদ বলেন, আশা করা যাচ্ছে, কমবেশি ৬০টি দেশ থেকে প্রতিনিধি আসছেন। তাদের প্রায় সকলেই ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন উইন্ডো নিয়ে কথা বলবেন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিন দিনব্যাপি এই সামিটের শুভ উদ্বোধন করবেন। তিনি বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তার সরকারের দেওয়া নানাবিদ সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরবেন। আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা সিএনএন এই সামিটের লাইভ প্রোগ্রাম করবে। আমাদের প্রবাসীদের সংগঠনগুলো এই সামিটকে সফল করতে এগিয়ে এসেছে। তাই আমি মনে করি যে, বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩ খুবই ভাল উদ্যোগ এবং সময়োপযোগী। এরফলে দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন দ্বার উম্মোচিত হবে বলে আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি।

বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই/এসএএম//


Comment As:

Comment (0)