Health Department 220224

বিভিন্ন অনিয়মে জর্জরিত

বন্ধ করা হলো ঢাকার ২ হাসপাতাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিভিন্ন অনিয়মে জর্জরিত থাকায় রাজধানীর দুটি বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সতর্ক করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে কিছু নির্দেশনা, যা দ্রুত বাস্তাবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক মঈনুল আহসান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের কেয়ার হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক এবং উত্তরা হাইকেয়ার কার্ডিয়াক অ্যান্ড নিউরো হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শ্যামলীর ঢাকা ট্রমা সেন্টার ও স্পেশালাইজড হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক ল্যাব বন্ধ করা হয়েছে।

মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত ঐ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশের লাইসেন্সবিহীন, অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংক বিধি মোতাবেক জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করতে এসব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। নির্দেশনা মোতাবেক পরিদর্শন কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন বুধবার রাজধানীর ১০টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

পরিদর্শনে শ্যামলীর হাইকেয়ার অর্থোপেডিকস ও জেনারেল হাসপাতালকে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। একই এলাকার ইসলাম ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কালার কোডেড বিন (মেডিকেল বর্জ্য রাখার রঙিন পাত্র) সঠিক না থাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেন পরিদর্শনকারী দলের সদস্যরা।

এছাড়া শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালকে তথ্য কর্মকর্তার নাম ও ছবি টানাতে এবং এসবিএফ কিডনি কেয়ার সেন্টারকে একজন কিডনি বিশেষজ্ঞ নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন রাজধানীর লুবানা হাসপাতাল, উত্তরা ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক এবং উত্তরার ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেন কর্মকর্তারা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিদর্শন কর্মসূচির প্রথম দিন মঙ্গলবার সারা দেশে ১৬টি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়া হয়। সিলগালা করা হয় দুটি প্রতিষ্ঠানকে। এদিন মোট ৩৭টি স্বাস্থ্য সেবা খাতসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন অধিদফতরের কর্মকর্তারা। পরিদর্শনে ৭টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিছু প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক জরিমানা করা হয়। 
 
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//


Comment As:

Comment (0)