সামিটের দ্বিতীয় এলএনজি টার্মিনাল

এশিয়ার স্পট মার্কেটে কমেছে এলএনজির দাম

ডেস্ক রিপোর্ট: এশিয়ার স্পট মার্কেটে গত সপ্তাহে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম কমে তিন মাসের সর্বনিম্নে নেমেছে। দাম কমার পেছনে ভূমিকা রেখেছে এ অঞ্চলে নিম্নমুখী চাহিদা। অন্যদিকে আটলান্টিক মহাসাগরীয় পথে ইউরোপের দেশগুলো জ্বালানি পণ্যটির আমদানি বাড়িয়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

শিল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রের দেয়া তথ্যানুযায়ী, উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় এপ্রিলে সরবরাহের জন্য প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির গড় মূল্য গত সপ্তাহে ছিল ১৩ ডলার ৪০ সেন্ট। মে মাসে সরবরাহের জন্য এ সময় প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির মূল্য নির্ধারণ হয়েছে ১৩ ডলার ২০ সেন্ট।

আর্গাসের হেড অব এলএনজি প্রাইসিং মার্টিন সিনিয়র বলেন, ‘জাপানে এলএনজির চাহিদা কমেছে। এমনকি কিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানি ক্রয়ের পরিবর্তে কার্গো বিক্রি করছে।’

তিনি জানান, শীত শুরুর আগেই জাপানে এলএনজির বাড়তি মজুদ ছিল। তাই এখনো তাপমাত্রা কম থাকলেও বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোয় পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, জাপানের প্রধান বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোয় গত ৯ মার্চ পর্যন্ত এলএনজি মজুদ ছিল ১৭ লাখ ৯০ হাজার টন। গত বছরের মার্চের শেষে এ পরিমাণ ছিল ১৪ লাখ ৮০ হাজার টন।

মার্টিন সিনিয়র আরো বলেন, ‘‌দক্ষিণ কোরিয়ায় এলএনজির চাহিদা বেড়েছে। মৌসুম শেষেও তাপমাত্রা কম থাকায় ক্রেতারা মজুদ পূরণ করতে কার্গো কিনেছে।’

এফজিইর অ্যানালিস্ট বিশ্লেষক সিয়ামাক আদিবি বলেন, ‘‌এশিয়ার এলএনজির চাহিদা নিম্নমুখী রয়ে গেছে। মার্চের আমদানি ফেব্রুয়ারির সমপরিমাণ হতে পারে। অন্যদিকে ইউরোপের এলএনজি আমদানি ঊর্ধ্বমুখী রয়ে গেছে। মার্চের শেষ নাগাদ মোট আমদানি প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টনে পৌঁছতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘‌নরওয়ে যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করছে। কিন্তু বাড়তি চাহিদা মেটাতে সক্ষম নয়। আবহাওয়াসংক্রান্ত কারণে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও বিদ্যুৎ খাতে বেশি প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারের ফলে মজুদ থেকে সরবরাহ বেশি হচ্ছে। ফলে ইউরোপের বাজারে এলএনজির প্রয়োজনীয়তা আরো বাড়ছে।’

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটস গত বৃহস্পতিবার এপ্রিলের সরবরাহ চুক্তিতে নর্থওয়েস্ট ইউরোপ এলএনজি মার্কার (এনডব্লিউএম) বাজার আদর্শে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম স্থির করেছে ১২ ডলার ৪১ সেন্টে। এছাড়া একই মাসের সরবরাহ চুক্তিতে টিটিএফে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজিতে ৫৫ সেন্ট ছাড় দেয়া হয়েছে।

আরগাস মার্চের সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির মূল্য নির্ধারণ করেছে ১২ ডলার ৫১ সেন্ট। অন্যদিকে স্পার্ক কমোডিটিজ প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ১২ ডলার ৮৩ সেন্ট নির্ধারণ করেছে।

স্পার্ক কমোডিটিজের বিশ্লেষক কাসিম আফগান জানান, গত শুক্রবার আটলান্টিক মহাসাগরীয় পথে এলএনজির পরিবহন ব্যয় বেড়ে দৈনিক ২৫ হাজার ৭৫০ ডলারে পৌঁছেছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় পথে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দৈনিক ১৯ হাজার ৭৫০ ডলারে।

বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//


Comment As:

Comment (0)