সুগন্ধি চাল

আমদানি বেড়েছে

সাতক্ষীরায় কমছে না চালের দাম

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তবে আমদানি বাড়লেও অঞ্চলটির চালের বাজারে তার কোনো প্রভাব নেই। বরং এক মাসের ব্যবধানে প্রকারভেদে চালের দাম কেজিতে ৩-৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

সম্প্রতি সাতক্ষীরার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে যেসব চাল আমদানি হচ্ছে, তার মধ্যে চিকন মিনিকেট, নাজিরশাইল, বাসমতী, স্বর্ণা ও জামাইবাবু উল্লেখযোগ্য। ভোমরা শুল্ক স্টেশনের সিনিয়র রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মইনুল হক জানান, চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) ১৩ অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫১৫ টন চাল আমদানি হয়েছে। আমদানীকৃত এসব চালের মূল্য ছিল ৬৮৬ কোটি ৮৩ লাখ ৭৮ হাজার ৫৯৭ টাকা।

সাতক্ষীরা জেলা সদরের চালতেতলা এলাকার চাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স তপন অটোরাইস মিলের স্বত্বাধিকারী তপন কুমার সাহা জানান, বর্তমানে তার মিলে চিকন সুপার মিনিকেট পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৫ টাকায়। এছাড়া সাধারণ মিনিকেট ৭০ ও বাসমতী চাল ৮৪ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। অন্যান্য চালের মধ্যে চিকন আটাশ ৬৬ টাকা, চিকন ৬৩ জাতের চাল ৭৫ ও মোটা জামাইবাবু ও স্বর্ণা জাতের চাল ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘ধানের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় তার প্রভাব চালের দামে পড়েছে।’

তবে আমদানি ছাড়া স্থানীয়ভাবেও উৎপাদন বেড়েছে বলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দেয়া তথ্যমতে, স্থানীয় জেলার চাহিদা অর্জন করেও অন্তত দুই লাখ টন চাল বেশি উৎপাদন হয়। কিন্তু তার পরও বাজারে চালের দাম কমছে না।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, জেলায় চাহিদার তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি চাল উৎপাদন হয়। আমন ও বোরো মৌসুমে জেলায় কমপক্ষে ছয় লাখ টন চাল উৎপাদন হয়। অথচ জেলার সর্বোচ্চ চালের চাহিদা রয়েছে চার লাখ টন।

সাতক্ষীরা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ জানান, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে প্রচুর চাল আমদানি হচ্ছে। এর পরও তার প্রভাব দামে পড়ছে না। কোনো মিলার যদি ধান বা চাল মজুদ করে রাখেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিনিয়োগবার্তা/জিকে/এসএএম//


Comment As:

Comment (0)