সংসদে আইনমন্ত্রী

জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে আইনমন্ত্রী

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রোধ বা গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়নি। সাইবার অপরাধ দমনের জন্য আইনটি করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনে দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোমবার (১৯ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সিলেট-৩ আসনের হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক এ কথা বলেন। স্পিকার ড.  শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যেন অপব্যবহার না হয় সেজন্য সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দফতর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে একটি টেকনিক্যাল নোট দিয়েছে। সেটিরও পর্যালোচনাও প্রায় শেষ। দ্রুতই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক জানান, নিরস্ত্র, নিরীহ মানুষকে হত্যাকারী জঙ্গিদের বিচাররাধীন মামলা দ্রুত বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। চলতি বছরের গত ৩১ মে পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালসমূহে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৬৪৫টি।

জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের বিধি অনুযায়ী সাব রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিষয়য়াদি আইন মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন অধিদফতরের আওতাভুক্ত। ফলে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও সাব-রেজিস্ট্রার পদ নিবন্ধন অধিদফতরের আওতায় থাকাই যৌক্তিক। সাব-রেজিস্ট্রার পদগুলো আইন ও বিচার বিভাগ থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। রেজিস্ট্রশন সংক্রান্ত বিষয় আইন ও বিচার বিভাগের আওতাধীন থাকার ব্যাপারটি  নিষ্পত্তিকৃত বিষয়।

তিনি জানান, ২০২১ সালের ১০ জুন হতে ২০২৩ সালের ১৩ জুন পর্যন্ত ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ৭৮ হাজার ১৯৫টি দলিল ই-রেজিস্ট্রশন সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। এর ফলে ভূমি শ্রেণী পরিবর্তন ও জাল খতিয়ানের মাধ্যমে দলিল নিবন্ধন বন্ধ হয়েছে, রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার প্রবণতা কমেছে। স্বল্প সময়ে ও কম খরচে মানসন্মত সেবা নিশ্চিত হয়েছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, সারা দেশের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে কর্মরত নকলনবিশের সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৫৬ জন। বর্তমানে কর্মরত অধিকাংশ নকলনবিশ তালিকাভুক্ত আছেন। অবশিষ্ট অ-তালিকাভুক্ত নকলনবিশদের তালিকাভুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, নকলনবিশদের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সারা দেশে (২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত) অ্যাসিড নিক্ষেপ সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৭৬টি। মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী অ্যাসিড নিক্ষেপ সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলা সবচেয়ে বেশি ঢাকায় ৪০টি। দ্রুত নিষ্পত্তির কারণেই বিচারাধীন মামলার সংখ্যা তুলনামূলক কম উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, অ্যাসিড নিক্ষেপ সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ভবিষ্যতে আরো কমে যাবে।

বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//


Comment As:

Comment (0)