কক্সবাজারে দ্বিতীয়বারের মতো রোহিঙ্গা শুমারি শুরু
কক্সবাজার প্রতিনিধি, বিনিয়োগবার্তা: কক্সবাজারে গতকাল থেকে দ্বিতীয়বারের মতো রোহিঙ্গা শুমারি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে ১৭০টি শুমারি দল জেলার পাঁচ উপজেলায় মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তত্ত্বাবধানে এ শুমারি পরিচালিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৯ অক্টোবর সীমান্তরক্ষী নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার ঘটনার পর মিয়ানামারের সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করলে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার তাদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করতে রোহিঙ্গা শুমারির উদ্যোগ নেয়।
এবারের শুমারিতে কক্সবাজারের সদর, রামু, চকরিয়া, উখিয়া ও টেকনাফ ছাড়াও চট্টগ্রামের লোহাগড়া, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, পটিয়া ও বোয়ালখালী এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা ও আলীকদমেও শুমারি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আজ থেকে এসব এলাকায় শুমারির কাজ শুরু হবে।
এ বিষয়ে বিবিএসের কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ওয়াহিদুর রহমান জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা সীমান্তবর্তী উখিয়া ও টেকনাফের শরণার্থী শিবিরসহ বিভিন্ন পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছে। তারা জেলার রামু, চকরিয়া ও কক্সবাজার সদরে আশ্রয় নিয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। তবে জেলার অন্য তিন উপজেলায় নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেয়ার খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাই ওই উপজেলাগুলোয় শুমারির কাজ হচ্ছে না। কক্সবাজারের নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরগুলোর (উখিয়ার কুতুপালংয়ে ১টি ও টেকনাফের নয়াপাড়ায় ১টি) বাইরে দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি ক্যাম্পে অবস্থানরত অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদেরও শুমারি হবে। এ শুমারি আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত চলবে। তবে কাজের ওপর নির্ভর করে সময় আরো এক-দুদিন বাড়ানো হতে পারে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৬ সালে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা জানতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় আরো একটি শুমারি করা হয়েছিল। তবে ওই তালিকা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
(এমআইআর/ ০১ মার্চ ২০১৭)