মিহির

ডি-৮ সম্মেলন - ২০২২: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি

ড: মিহির কুমার রায়: ডি-৮ চেম্বারস অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডি-৮ সিসিআই) প্রতিষ্ঠার রজত জয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে ২৬-২৭ জুলাই, ২০২২ ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘ডি-৮ সিসিআই বিজনেস ফোরাম এ্যান্ড এক্সপো-২০২২’  অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ডি-৮ মিনিস্ট্রিয়াল-এর চেয়ারম্যান এ কে আব্দুল মোমেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো: শাহরিযার আলম এবং ডি-৮- এর  সেক্রেটারি জেনারেল রাষ্ট্রদূত ইসিযাকা আব্দুল কাদির ইমাম। এর আগের দিন ২৫শে জুলাই সোমবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডি-৮ সিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম অনুষ্ঠান সূচি ও আসন্ন আয়োজন থেকে প্রত্যাশা নিয়েও আলোচনা করেন এবং এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ডি-৮ সিসিআই  -এর সেক্রেটারি জেনারেল  আশরাফুল হক চৌধুরী এবং এফবিসিসিআই-এর পরিচালক সুজীব রঞ্জন দাশ। এবারের ফোরামে বাংলাদেশ সহ অন্য সদস্য দেশগুলোর মধ্যকার ভ্যালু চেনের ৬টি এবং ভ্যালু চেন ইন্টিগ্রেশনের ১৩টি বৃহৎ ক্ষেত্রের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই ক্ষেত্রগুলো হলো- পণ্য সামগ্রী খনিজ ও শক্তি;  শ্রম-নির্ভর পণ্য-বস্ত্র, পোশাক, হাল্কা প্রকৌশল ও চামড়াজাত পণ্য; শ্রম-নির্ভর সেবা- পরিবহন, কৃষি, স্বাস্থ্য সেবা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন; অঞ্চলভিত্তিক প্রক্রিয়াকরণ- কৃষি, জলজ-সম্পদ, পশু সম্পদ; জ্ঞানভিত্তিক পণ্য ইলেকট্রনিক্স উপাদান, সেমিকন,  সাইবার নিরাপত্তা সরঞ্জাম উপাদান, লজিস্টিকস ও পরিবহন সরঞ্জাম এবং জ্ঞানভিত্তিক সেবা- আইসিটিতে পেশাদার সেবা,  অর্থনৈতিক খাতে প্রযুক্তি সক্ষম করা, ৪১আর, রোবোটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই, আইওটি, সাইবার সিকিউরিটিজ, দক্ষতা,  গবেষণা ও উন্নয়ন। এছাড়াও ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুল্যুশন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংস, ডেটা এ্যানালিটিক্স,  কাজের ভবিষ্যত এবং প্রয়োগভিত্তিক দক্ষতা ইত্যাদির মধ্যে ডি-৮-এর অংশীদারিত্ব, হালাল অর্থনীতি, ব্লু ইকোনমি, সাইবার নিরাপত্তা,  রোবোটিক্স, স্টার্ট আপ ইকো সিস্টেম, যুব-নারী ক্ষমতায়ন ও এমএসএমই, এডটেক, এপ্রিটেক, হেলথ টেক পণ্যের মান ও সমন্বয়,  ক্রস কারেন্সি সোয়াপ,  বার্টার সিস্টেম এবং ব্লক চেন নিয়েও ফোরামে আলোচনা করা হয়। তাত্বিকভাবে ডি-৮ সিসিআই সংগঠনটি পাঁচটি বৈশিষ্টের ভিত্তিতে কাজ করছে যথা: প্রথমত, নব্য আঞ্চলিকতার যুগে এটি একটি আন্তঃআঞ্চলিক সহযোগিতার উদ্যোগ; দ্বিতীয়ত, এটি মধ্যম এবং ক্রমবর্ধমান শক্তিগুলোর যৌথ প্রচেষ্টাকে উপস্থাপন করে, যা বিশ্বের একটি নতুন ভূ রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়; তৃতীয়ত, এটি ইসলামি সভ্যতার ইতিহাস এবং পরিচয়ের ভিত্তিতে সংহতিকে মেলে ধরে;  চতুর্থত, অন্যান্য বহু পাক্ষিক সংগঠনের তুলনায় ডি-৮-এর নীতিগুলো অনন্য; যেমন সংঘর্ষের পরিবর্তে শান্তির কথা বলে: সংঘাতের পরিবর্তে সংলাপ, শোষণের পরিবর্তে সহযোগিতা, দ্বিমুখী নীতির পরিবর্তে ন্যায় বিচার,  বৈষম্যের পরিবর্তে সমতা এবং সর্বশেষ নিপীড়নের পরিবর্তে গণতন্ত্র।

এখানে উল্লেখ্য যে ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশ ডি-৮ - এর সঙ্গে বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বহুপাক্ষিক গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সংযুক্ত। প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৭ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন এবং ১৯৯৯ সালে ঢাকায় দ্বিতীয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মলন সফলতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত করেছিলেন। এমনকি কোভিড-১৯ - এর  চ্যালেঞ্জিং সময়েও বাংলাদেশ সফলভাবে দশম শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করার মধ্যে দিয়ে সংগঠনটিকে আরো দৃশ্যমান করে তোলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ - এর  ডি-৮ সম্মেলনে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘দক্ষতা বিকাশের মাধ্যমে আমাদের তরুণদের শক্তি বাড়ানো,  আইসিটির সম্পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো, প্রয়োজনীয় আইনি,  প্রাতিষ্ঠানিক এবং অবকাঠামোগত কাঠামো তৈরি করা এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুবিধার্থে সংযোগ স্হাপনের উন্নতিতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।’ 

প্রধানমন্ত্রীর কথার বাস্বব চিত্র দেখছি আমরা বিভিন্ন সেক্টরে। বাস্তবিক অর্থেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সংগঠনটিকে আরো প্রাণবন্তো, সক্রিয় এবং কার্যকর করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য যে আন্তঃ সরকারি আন্তর্জাতিক সংগঠন তথা ডি-৮ গ্রুপে বাংলাদেশের নেতৃত্বদান ও সাংগঠনিক তৎ্পরতা দৃষ্টি আকর্ষন করেছে সবার এবং ডি-৮ এর ২০২১ সালের শীর্ষ সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান  বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সভাপতিত্ব হস্থান্তর করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ জুলাই ঢাকায় ডি-৮ সম্মেলনের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে যার সভাপতিত্বের দায়িত্ব পড়েছে বাংলাদেশের ওপর। তুরস্ক থেকে ডি-৮-এর সভাপতিত্ব পাওয়ার পর ডি-৮ - এর  সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক ত্ৎপরতা বৃদ্ধির সুযোগ পাচ্ছে। বাংলাদেশ বর্তমানে ইন্ডিয়ান ও শানরিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) ভাইস চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, যা অত্যন্ত ইতিবাচক।

বর্তমান বিশ্ব এখন দ্বৈত সংকটে - একদিকে করোনার মহামারি অন্যদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে বিশেষত জ্বালানী,  গম ও সার সরবরাহে যা মুল্যস্ফীতিকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে, চলছে আমদানী রফতানীতে ভারসাম্যহীনতা,  রিজার্ভের  ক্রম অবনতি ও ডলারের বিপরীতে দেশীয় টাকার অবমূল্যায়ন ইত্যাদি। যুদ্ধের দীর্ঘস্হায়িতা সবার মধ্যে এই শঙ্কাকে আরো বাড়িয়ে  দিয়েছে। তারপর এসবের মধ্যেই বাংলাদেশকে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর বাডতি বোঝা টানতে হচ্ছে। সার্বিক বিচারে বাণিজ্য, খাদ্য, জ্বালানির সমস্যা নিরসনের বিকল্প পথ খোঁজা এবং বিশ্ব বাজারের  অনিশ্চয়তা দূরের প্রচেষ্টার পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে ডি-৮ - এর সদ্য সমাপ্ত সম্মেলনে যা একটি বড় প্রাপ্তি বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। বিগত দুই যুগেরও বেশী সময় পথ চলায় ডি-৮ বৈশ্বিক কূটনীতি এবং অন্তঃ সংগঠন সহযোগিতায় তেমন বড় প্রভাব ফেলতে পারেনি  বটে; তবে,  সাংগঠনিক বিবর্তনে বেশ কয়েকটি মাইলফলক অর্জন করেছে গ্রুপটি যাকে আন্তঃ আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং কূটনীতির ক্ষেত্রে একটি শক্ত প্ল্যাটফরম হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। এবারের সম্মেলনে ডি-৮ - এর  সম্ভাবনাময় দিক হলো এটি ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১১টি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের সফলতা দেখিয়েছে যা একটি আন্তঃ আঞ্চলিক সংস্থার জন্য একটি বড় অর্জন যার মাধ্যমে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বহুপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে পরিবেশ সৃষ্ঠি হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে কৃষি এবং খাদ্য নিরাপত্তা, বাণিজ্য,  পরিবহন, শিল্প সহযোগিতা, পর্যটন, জ্বালানি ও খনিজের সম্পদ। তাছাডা, ডি-৮ -এর  প্রস্তাবিত বিষয়গুলোর মধ্যে প্রেফারেনশিয়াল ট্রেডিং অ্যারেঞ্জমেন্ট (পিটিএ) একটি এবং ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী,  আগামী ২০২৩ - এডি-৮ - এর সদস্যগুলো পিটিএ বাস্তবায়িত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গ্রুপটিতে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সভাপতিত্ব, বাংলাদেশের সাথে চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দর কষাকষির ক্ষেত্রে কৌশলগত হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই নেতৃবৃন্দকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এর মাধ্যমে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য সমর্থন জোগাড় করার  জন্য একটি নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। মোট কথা,  ডি-৮ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক অগ্রগতিতে সাফল্যের গল্প তুলে ধরার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম,  যা কার্যত বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উত্তরোত্তর সমুন্নত করবে| একটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে,  ডি-৮ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দেখিয়েছেন, তারা একসঙ্গে কাজ করতে পারেন। ডি-৮ - এর  শক্তিশালী দিক হলো—এটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে নেতারা বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জসমূহ নিয়ে আলোচনা এবং বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে তাদের মতামত বিনিময় করতে ১১ বার সম্মেলনে বসেছেন। অর্থাৎ্,  বিশ্ব ব্যবসস্থায় ডি-৮ - এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো এখন ‘শক্তিশালী অর্থনৈতিক শক্তি’ হিসেবে বিবেচিত। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিমন্ডলে ডি-৮ - এর গুরুত্ব অনুধাবন করে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন,  ‘ডি-৮ অন্তভুর্ক্ত দেশগুলো একসঙ্গে কাজ করলে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোট তৈরি করা সম্ভব।’ ২০২১ সালে কোভিড মহামারিকালে শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের পরের বছরেই অর্থাৎ বিশ্ব রাজনীতির চলমান সংকটের মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক আয়োজন করা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল। এবারের সফল সম্মেলন আয়োজনের মধ্য দিয়ে  সক্ষমতার প্রশ্নে আরো একধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দক্ষ ও সফল নেতৃত্ব এই সংগঠনকে নতুন উদ্দীপনা দিচ্ছে—একথা বলাই বাহুল্য। সামনের দিনগুলোতে আঞ্চলিক কিংবা আন্তর্জাতিক পরিসরে টেকসই পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র সমুন্নত রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশ  ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে’ বললে বাড়িয়ে বলা হবে না মোটেই।

ডি-৮ পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সম্মেলন শেষে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে আন্তঃ বাণিজ্য প্রসারের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। প্রতিষ্ঠাকালীন ডি-৮ এর সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে আন্তঃ বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৪ বিলিয়ন ডলার যা বর্তমানে ১২৯ বিলিয়ন ডলারে পৌছেছে। এতে আশা করা হচ্ছে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আস্তঃ বাণিজ্য ১০ গুণ বাড়বে। এখানে উল্লেখ্য ইতোমধ্যে মিসর ব্যতীত অন্যান্য সাতটি সদস্য রাষ্ট্রসমূহ ডি-৮ পিটিএ অনুসমর্থন করেছে। এবারের সভায় মিশর জানিয়েছে,  তারা শিগগিরই ডি-৮ পিটিএ অনুসমর্থন করবে। এছাড়াও ডি-৮ পিটিএ দ্রুত কার্যকর  করার লক্ষ্যে ড্রাফট ট্রেড ফ্যাসিলেশন স্ট্র্যাটেজির চূড়ান্তকরণ প্রক্রিয়া চলছে। এবারের সভায় এ বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়। এই ড্রাফট ট্রেড ফ্যাসিলেশন স্ট্র্যাটেজি শিগগিরই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য থার্ড ট্রেড মিনিস্টার্স মিটিংয়ে গৃহীত  হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের নিকট হতে সংগঠনটির সভাপতিত্ব গ্রহণ করেন। এখন প্রাপ্তি যাই হউক না কেন প্রত্যাশা পূরনে আগামী দিনগুলিতে বৈশ্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় বাংলদেশ সরকারকে অনেক ঝুকি মোকাবেলা করতে হবে যার জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সহ সরকারের ধারাবাহিকতা আগামী বছর শেষে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা রয়েছে  এবং অর্থনীতির ক্ষেত্রে ঝুকিগুলো সামলাতে সরকার পরিবর্তন সার্বিক অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে। কাজেই সাধারন জনগনের উচিত হবে সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা এবং রাষ্ঠ্রের দায়িত্ব হবে সফল কুটনীতির মাধ্যমে সদস্য দেশগুলোর সাথে সফল তৎপরতা চালিয়ে যাওয়া। তবেই সম্মেলনের প্রত্যাশা - প্রাপ্তির মধ্যে ব্যবধান কমে আসবে এবং দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে।

লেখক: অধ্যাপক (অর্থনীতি), ডিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ও সিন্ডিকেট সদস্য, সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।


Comment As:

Comment (0)