মিহির

এডিপি বাস্তবায়নে প্রভাব ফেলছে সংসদ নির্বাচন

ড: মিহির কুমার রায়: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন এবং ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪ সালের ৭ই জানুয়ারি। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি, জামায়াত ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোট। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন ও বাম রাজনৈতিক জোট একতরফা নির্বাচনী তফসিল প্রত্যাখ্যান করে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এরি অংশ হিসাবে ঘেড়াও, অবরোধ ও হরতাল বিগত ২৮শে অক্টোবরের পর থেকেই শুরু হয়েছে এবং তা চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে বিরোধী বলয়। এর প্রভাব পড়েছে দেশের চলমান অথনৈতিক কর্মকান্ড বাস্তবায়নে যার মধ্যে বাজেট বাস্তবায়নের বিষয়টি অন্যতম। এখানে উল্লেখ্য যে গত ১লা জুন নতুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে নতুন বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী যার আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, লেনদেনের ভারসাম্য পরিস্থিতির উন্নয়ন ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা- এই  তিন বিষয়কে এবারের বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন সরকার, কৌশলও নির্ধারণ করেছেন, যাতে এসবের প্রভাব থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করে অর্থনীতিকে গতিশীল করা যায়। নির্বাচনী বছরে একদিকে জনগণকে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে  সুরক্ষা দেয়ার তাগিদ, অন্যদিকে দেশীয় অর্থনীতিতে বিদ্যমান তীব্র চাপে সম্পদের অপ্রতুলতার মধ্যেই ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। কারন নির্বাচনী বছর বাজেটে নানারকম জন প্রত্যাশা থাকে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত পূরণের চাপ, সঙ্গে যোগ হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণ, আর্থিক খাতের সংস্কার, বাড়তি ৬৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়, বিদ্যুতে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান, ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকা ঋণ নেওয়ার বিষয় এবং একই সঙ্গে বিপুল অঙ্কের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন। তবে সরকার আশাবাদী, যত প্রতিকুলতাই আসুক সব কিছু জয় করতে সরকার বদ্ধ পরিকর।

এই বাজেট বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার সময় পাবে ছয় মাসের কিছু বেশী এবং নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত আগামী সরকার বাজেটের বাকি অংশ বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবে যার প্রভাব পড়েছে টার্গেটভিত্তিক বাজেট বাস্তবায়নের  উপর। কারন যে হারে হরতাল অবরোধ চলছে তাতে সরকারী যন্ত্র বাজেট বাস্তবায়নের চেয়ে নিজেদের জীবন ও চাকুরী রক্ষার্থে ব্যাস্ত। যেমন জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাজেটে ধরা হয়েছে ৭.৫ % ও মুল্যস্ফীতির হার ধরা হয়েছে ৬.৫%, জিডিপির আকার ৫০ লাখ ৬ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা যা চলতি বছরে রয়েছে ৪৪ লাখ ৪৯ কোটি ৯৫৯ কোটি টাকা। বাজেট প্রস্তাবে আয়-ব্যয়ের বিশাল ঘাটতি পূরণে সরকার যে ছক এঁকেছে এতে দেখা যায় যে বাজেটে মোট ঘাটতি ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা (যা জিডিপির ৫.৫%) এর মধ্যে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস হতে এবং ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস হতে নির্বাহ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। বাজেটের আয়-ব্যয়ের বিশাল ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের উপর ভরসা করছে সরকার। অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব বাজারে জ্বালানি, খাদ্যপণ্য ও সারের মূল্য কমে আসা, দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় এবং খাদ্য সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার প্রচেষ্টা চলছে। এসব সরকারি উদ্যোগের প্রভাবে চলতি অর্থবছর মূল্যস্ফীতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত থাকবে। তাই বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের কাছাকাছি দাঁড়াবে বলে আশা করা হয়। চলমান বাজেটে অর্থবছরের বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা (যা মূল বাজেটের ৫৭.২৬%) এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে, আর এডিপিসহ মোট উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা (যা মূল বাজেটের ৪২.৭৩%)।

এই বাজেটের মূল লক্ষ্য বার্র্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) নিয়ে। কারন পরিচালন ব্যয় বেতন ভাতা দিতে  যত সহজে ব্যয় করা যায়, এডিপি এতটা সহজে ব্যয়যোগ্য নয় অবস্থানগত কারনে যার সঙ্গে উন্নয়ন জড়িত। পর্যালোচনায়  দেখা যায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় থাকা বিদেশি ঋণ (প্রকল্প সাহায্য) ব্যবহারের  ক্ষেত্রে এখনও খরচের খাতা খুলতে পারেনি ছয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। অন্যদিকে সরকারি উৎসের (জিওবি) বরাদ্দ থেকে খরচের খাতা খুলতে না পারা মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা তিনটি। সব মিলিয়ে গত চার মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার ১১ দশমিক ৫৪  শতাংশ। গত আট অর্থবছরের একই সময়ের মধ্যে যা সবচেয়ে কম। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছর এর চেয়ে কম  হারে বাস্তবায়নের রেকর্ড রয়েছে। ওই অর্থবছর বাস্তবায়নের হার ছিল ১১ দশমিক ৪৮ শতাংশ (উৎস্য:  পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের প্রতিবেদন)। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং গবেষকগন মনে করেন সরকারের অর্থ সংকটের কারণে উন্নয়ন কর্মকান্ডে এই স্থবিরতা। প্রকল্পে সরকারের অর্থের জোগান দেওয়া সম্ভব হয়  না বলে প্রকল্প সাহায্যের বাস্তবায়নেও গতি কমেছে। কারণ ভূমি অধিগ্রহণের মতো কাজগুলো সরকারকে করে দিতে হবে।  উন্নয়ন সহযোগীরা ভূমি অধিগ্রহণ ব্যয়ে ঋণ দেবে না। সরকারের অর্থের টানের কারণে ভূমি অধিগ্রহণের মতো ব্যয়ে অর্থ  জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। আবার মৌসুমি একটা ব্যাপারও আছে। অবশ্য পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, পদ্মা  রেলসংযোগ প্রকল্পের মতো মেগা অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কারণে হাতে বড় ব্যয়ের প্রকল্প কম। নতুন মেগা প্রকল্পও  নেওয়া হচ্ছে না। উন্নয়ন কর্মকান্ডের এই স্থবিরতার কারণে কর্মসংন্থান কাঙ্ক্ষিত হারে হবে না। অর্থের সরবরাহ কমবে। সার্বিক অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে। 

আইএমইডির প্রতিবেদন আরও বলা হয়েছে, চলমান অর্থবছরের জুলাই থেকে  অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে এডিপির আওতায় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ছিল ১২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। চলতি  অর্থবছরের প্রথম মাসে ব্যয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৬৬ কোটি টাকা কম। গত চার মাসে ব্যয় হয়েছে ৩১  হাজার ৬৯২ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল প্রায় ৩২ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা। গত এক  মাসের হিসাবেও গত অক্টোবরে এডিপি বাস্তবায়নের হার কমেছে। গত মাসে বাস্তবায়নের হার ৪ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। গত  বছরের অক্টোবরে যা ছিল ৪ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। সাধারণত প্রতি অর্থবছরেই আগের অর্থবছরের তুলনায় এডিপির আকার বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছর এডিপি বরাদ্দ গত অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে ১৮  হাজার কোটি টাকা। মোট আকার ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। ১ হাজার ৩৪০টি প্রকল্পের বিপরীতে এ বরাদ্দ রয়েছে। আইএমইডির প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত চার মাসে প্রকল্প সাহায্যের বাস্তবায়নের হার ১২ দশমিক ৬২  শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিল ১৪ দশমিক ২৮ শতাংশ। গত চার মাসে বিদেশি ঋণের এই উৎস থেকে  প্রকল্পগুলোতে ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১৩ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা।   

গত চার মাসে প্রকল্প সাহায্যের এক টাকাও ব্যয় করতে না পারা ছয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ হচ্ছে– পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়,  শিল্প মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এডিপিতে ব্যয়ে সরকারি উৎসের (জিওবি) অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে দেখা যায়, চার মাসে যে তিনটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এক  টাকাও খরচ করতে পারেনি সেগুলো হচ্ছে– জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম  কমিশন। অন্যদিকে সাতটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংন্থাগুলো তাদের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে এক টাকাও খরচ করতে পারেনি।  অথচ অতীতের রেকর্ড থেকে দেখা যায় নির্বাচনী বছরে এডিবির বরাদ্ধ তুলনামূলক বেশী থাকে যা চলতি বছরেও রয়েছে এবং ব্যয়ের দিক থেকেও প্রায় শতভাগের কাছাকাছি চলে যায় সত্যি চলতি বছরে তার ব্যতিক্রম ঘটছে বলে প্রতিয়মান হয়। 
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সরকার শুধু  দাপ্তরিক রুটিন কাজ পরিচালনা করবে এবং সরকারী কর্মকর্তাগন নির্বাচনী কাজে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করে থাকে। তফশিল ঘোষণার পর আন্দোলন আরও জোরদারের চেষ্টা থাকবে। সরকার পক্ষ অবশ্য মনে করে, ততদিনে তাদের শক্তি সামর্থ্য ফুরিয়ে যাবে। এ অনুমান যে একেবারে ভুল, তা মনে হয় না। ১৫-১৭ বছর টানা চাপে থাকা বিএনপির পক্ষে আর কত শক্তি প্রদর্শনই বা সম্ভব! অপরদিকে কেবল দক্ষ নজরদারির কারণেই পুরোনো ধাঁচের আন্দোলন রচনা এখন কঠিন। প্রশাসনও অদৃষ্টপূর্ব মাত্রায় অনুগত এবং আন্দোলন দমনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ অবস্থায় বিএনপি ও তার মিত্ররা অবশ্য সাধ্যমতো বিচ্ছিন্ন প্রতিরোধ চালিয়ে যাবে। ভোটের দিনও হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি থাকবে নিশ্চয়ই। তাতে জনমনে ভয়ভীতি থাকায়ও ভোট পড়বে সীমিত প্রত্যাশার চাইতেও কম। অবশ্য শোনা যাচ্ছে, এরই মধ্যে ভোটারদের উৎসাহিত করে, খাতির করে কেন্দ্রে নিয়ে আসার কিছু উদ্যোগ থাকবে। তাতে ক্ষেত্র বিশেষে  ভোটের হার বাড়লেও জাতীয়ভাবে সেটা উৎসাহব্যঞ্জক কিছু হবে না। সত্যি বলতে, আইন শৃঙ্খলার বেশি অবনতি ঘটতে না দিয়ে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সেরে ফেলার দিকেই দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখবে সরকার। অগত্যা ইসিরও উদ্দেশ্য হবে এটাই। এ  অবস্থায় দলীয় প্রতীক না দিয়ে ‘যে জিতে আসতে পারো আসো’ বলে কিছু আসন ছেড়ে দেওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে।  আরেকটি মেয়াদের জন্য সরকার গঠনটাই যদি লক্ষ্য হয়, তাতে কোনো ‘রোমান্টিসিজম’ না রাখাই সংগত বলে বিবেচিত হবে।

সে যাই হউক না কেন দেশে একটি রাজনৈতিক সরকার এখনও ক্ষমতায় রয়েছে এবং অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেছিলেন, গত দেড় দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক ও অবকাঠামোসহ সব ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন করেছে এবং তার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে  উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের একটি টেকসই ভিত্তি স্থাপিত হছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে  প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা প্রসূত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের উদ্যোগগুলো প্রসংশার দাবি রাখে সত্যি কিন্তু এর বাস্তবায়ন শতভাগ না করা গেলে কাঙ্খিত অর্জন সম্ভব নয়। তার জন্য সরকারের ধারাবাহিকতার প্রয়োজন রয়েছে। 

সামনে জাতীয় নির্বাচন যা নিয়ে ঘরে-বাহিরে আলোচনা, সড়গরম মাঠ-ময়দান, রাজনীতি বর্তমানে দেশ অঙ্গন ছারিয়ে আন্তর্জ্যাতিক পরিমন্ডলে বিচরন করছে যা নিয়ে সমাজের মানুষের ভাবনার শেষ নেই। বাজারে মূল্যবৃদ্ধি  রয়েছে, সমাজের মানুষের কষ্ঠ আছে, তবুও সরকারের মানবিক সুবিধাগুলো পেয়ে তার কিছুটা হলেও স্বস্থিতে রয়েছে। বাজেট আসবে বাজেট যাবে, সরকার ও আসা যাওয়ার মধ্যে থেকে গনতান্ত্রিক প্রকৃয়া। এর মধ্যেই দেশের মুক্তিযোদ্ধের পক্ষের  শক্তি যারা বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে তাদের বিগত ১৫ বছরের অধিক পথ পরিক্রমায় দেশ আজ উন্নয়নশীল  দেশের কাতারে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। কাজেই আগামীতে সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে আগামীতেও সরকার পরিচালনায় সহায়তা করি এই প্রত্যাশা রইল।

লেখক: অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও সাবেক জৈষ্ঠ্য সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবীদ সমিতি, ঢাকা।

বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//


Comment As:

Comment (0)