মাসব্যাপি চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শুরু রোববার

প্রতিবেদক, বিনিয়োগবার্তা, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে আগামীকাল রোববার থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০১৭।

২৫তম এই বাণিজ্যমেলার আয়োজন করছে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই)।

বুধবার দুপুরে আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে আরও জানানো হয়েছে, এবার মেলার উদ্বোধন করবেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিক মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শফিউল আলম।

সংবাদ সম্মেলনে চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, দেশীয় পণ্যের প্রসারের লক্ষ্যে চট্টগ্রামে বেসরকারিভাবে সবচেয়ে বড় এ বাণিজ্যমেলার আয়োজন করে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। আমাদের পণ্যকে আন্তর্জাতিক বাজারে সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, চলতি মাসের শুরুতেই মেলা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু স্থান সংকটের কারণে তা করতে পারিনি। চট্টগ্রাম চেম্বার, চট্টগ্রাম মহিলা চেম্বার ও চট্টগ্রাম জুনিয়র চেম্বার সময়ানুযায়ী মেলারী আয়োজনের জন্য স্থান নির্ধারণ করে দিতে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রানালয়কে অনুরোধ জানিয়েছি।

মেলা কমিটির চেয়ারম্যান মো. নুরুন নেওয়াজ সেলিম বলেন, দেশের এসএমই শিল্পের প্রসার ও মানোন্নয়নে ২৫তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আয়োজন করতে যাচ্ছে চেম্বার। বাংলাদেশে এসএমই খাতের বিকাশের লক্ষ্যেই মূলত মেলার আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, প্রতিবারের মতো মেলায় বাড়তি নিরাপত্তা বলয় থাকবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সব সময় মেলায় নিয়োজিত থাকবেন। তাদের জন্য মেলা চলাকালে স্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। ৩ শিফটে বিভক্ত হয়ে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন তারা। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মেলার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করবেন।

গত ১৩ বছরের মতো এবারও পার্টনার কান্ট্রি হিসেবে মেলায় অংশগ্রহণ করছে থাইল্যান্ড। এছাড়া প্রথমবারের মতো মরিশাস এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে। আর প্রতিবারের মতো ভারত ও ইরান আমাদের সঙ্গে আছে। প্রায় ২৩ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে এ চার দেশের স্টল থাকবে।

চার লাখ বর্গফুটের অধিক জায়গা জুড়ে অনুষ্ঠিত মেলায় এবার ১৬টি প্রিমিয়ার গোল্ড প্যাভিলিয়ন; ৪টি মিনি মেগা প্যাভিলিয়ন; ৫টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন; ১০টি স্ট্যান্ডার্ড প্যাভিলিয়ন; ১৭২টি প্রিমিয়ার মেগা প্যাভিলিয়ন; ২২টি মেগা বুথ; ১০টি প্রিমিয়ার গোল্ড বুথ; ১৪টি স্ট্যান্ডার্ড বুথ; তিনটি রেস্টুরেন্টসহ মোট ৩৫টি প্যাভিলিয়ন; পার্টনার- কান্ট্রি থাই জোন ও তিনটি আলাদা জোন নিয়ে ৪৫০টিরও অধিক প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেবে।

গত ১৩ বছরের মতো কান্ট্রি পার্টনার হিসেবে ৫ হাজার ৪০০ বর্গফুট জায়গা নিয়ে বাণিজ্য মেলায় অংশ গ্রহণ করছে থাইল্যান্ড। এছাড়া দেশ-বিদেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, মন্ত্রীসহ বিভিন্ন উচ্চপদের কর্মকর্তারা মেলা পরিদর্শন করবেন।

এছাড়া সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে রেড ক্রিসেন্ট, সন্ধানী ও বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের জন্য একটি স্টল বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া মেলার দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে একটি তথ্য কেন্দ্রসহ জরুরি প্রয়োজনে রেজিস্টার্ড ডাক্তার দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া আর্থিক লেনদেন ও দ্রুত সেবা প্রদানের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও বিকাশের অস্থায়ী শাখা স্থাপন করা হয়েছে।

মাসব্যাপী এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মেলায় টিকেটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। মহিলা ও পুরুষদের জন্য আলাদা টিকেট কাউন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মো. নুরুন নেওয়াজ সেলিম বলেন, মেলার সমাপনী অধিবেশনে ১ম, ২য় ও ৩য় বিবেচিত বুথ ও প্যাভিলিয়নকে বিশেষ পদক ও মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানকে সনদপত্র প্রদান করা হবে। মেলার যাবতীয় তথ্য www.chittagongchamber.com এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। এছাড়া মেলা সম্পর্কিত একটি ফেসবুক পেজ তথ্যের জন্য সবসময় আপডেট রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

(এমএ/এসএএম/ ১৮ মার্চ ২০১৭)মাসব্যাপি চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শুরু রোববার
প্রতিবেদক, বিনিয়োগবার্তা, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে আগামীকাল রোববার থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০১৭।

২৫তম এই বাণিজ্যমেলার আয়োজন করছে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই)।

বুধবার দুপুরে আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে আরও জানানো হয়েছে, এবার মেলার উদ্বোধন করবেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিক মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শফিউল আলম।

সংবাদ সম্মেলনে চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, দেশীয় পণ্যের প্রসারের লক্ষ্যে চট্টগ্রামে বেসরকারিভাবে সবচেয়ে বড় এ বাণিজ্যমেলার আয়োজন করে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। আমাদের পণ্যকে আন্তর্জাতিক বাজারে সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, চলতি মাসের শুরুতেই মেলা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু স্থান সংকটের কারণে তা করতে পারিনি। চট্টগ্রাম চেম্বার, চট্টগ্রাম মহিলা চেম্বার ও চট্টগ্রাম জুনিয়র চেম্বার সময়ানুযায়ী মেলারী আয়োজনের জন্য স্থান নির্ধারণ করে দিতে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রানালয়কে অনুরোধ জানিয়েছি।

মেলা কমিটির চেয়ারম্যান মো. নুরুন নেওয়াজ সেলিম বলেন, দেশের এসএমই শিল্পের প্রসার ও মানোন্নয়নে ২৫তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আয়োজন করতে যাচ্ছে চেম্বার। বাংলাদেশে এসএমই খাতের বিকাশের লক্ষ্যেই মূলত মেলার আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, প্রতিবারের মতো মেলায় বাড়তি নিরাপত্তা বলয় থাকবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সব সময় মেলায় নিয়োজিত থাকবেন। তাদের জন্য মেলা চলাকালে স্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। ৩ শিফটে বিভক্ত হয়ে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন তারা। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মেলার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করবেন।

গত ১৩ বছরের মতো এবারও পার্টনার কান্ট্রি হিসেবে মেলায় অংশগ্রহণ করছে থাইল্যান্ড। এছাড়া প্রথমবারের মতো মরিশাস এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে। আর প্রতিবারের মতো ভারত ও ইরান আমাদের সঙ্গে আছে। প্রায় ২৩ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে এ চার দেশের স্টল থাকবে।

চার লাখ বর্গফুটের অধিক জায়গা জুড়ে অনুষ্ঠিত মেলায় এবার ১৬টি প্রিমিয়ার গোল্ড প্যাভিলিয়ন; ৪টি মিনি মেগা প্যাভিলিয়ন; ৫টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন; ১০টি স্ট্যান্ডার্ড প্যাভিলিয়ন; ১৭২টি প্রিমিয়ার মেগা প্যাভিলিয়ন; ২২টি মেগা বুথ; ১০টি প্রিমিয়ার গোল্ড বুথ; ১৪টি স্ট্যান্ডার্ড বুথ; তিনটি রেস্টুরেন্টসহ মোট ৩৫টি প্যাভিলিয়ন; পার্টনার- কান্ট্রি থাই জোন ও তিনটি আলাদা জোন নিয়ে ৪৫০টিরও অধিক প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেবে।

গত ১৩ বছরের মতো কান্ট্রি পার্টনার হিসেবে ৫ হাজার ৪০০ বর্গফুট জায়গা নিয়ে বাণিজ্য মেলায় অংশ গ্রহণ করছে থাইল্যান্ড। এছাড়া দেশ-বিদেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, মন্ত্রীসহ বিভিন্ন উচ্চপদের কর্মকর্তারা মেলা পরিদর্শন করবেন।

এছাড়া সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে রেড ক্রিসেন্ট, সন্ধানী ও বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের জন্য একটি স্টল বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া মেলার দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে একটি তথ্য কেন্দ্রসহ জরুরি প্রয়োজনে রেজিস্টার্ড ডাক্তার দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া আর্থিক লেনদেন ও দ্রুত সেবা প্রদানের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও বিকাশের অস্থায়ী শাখা স্থাপন করা হয়েছে।

মাসব্যাপী এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মেলায় টিকেটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। মহিলা ও পুরুষদের জন্য আলাদা টিকেট কাউন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মো. নুরুন নেওয়াজ সেলিম বলেন, মেলার সমাপনী অধিবেশনে ১ম, ২য় ও ৩য় বিবেচিত বুথ ও প্যাভিলিয়নকে বিশেষ পদক ও মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানকে সনদপত্র প্রদান করা হবে। মেলার যাবতীয় তথ্য www.chittagongchamber.com এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। এছাড়া মেলা সম্পর্কিত একটি ফেসবুক পেজ তথ্যের জন্য সবসময় আপডেট রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

(এমএ/এসএএম/ ১৮ মার্চ ২০১৭)


Comment As:

Comment (0)