১২ কোম্পানির ক্যাটাগরি বদল

কৌশলগত বিনিয়োগকারীতে সমৃদ্ধ হউক পুঁজিবাজার

২০১০ সালে ভয়াবহ ধসের পর থেকে অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার। ওই সময় লক্ষ লক্ষ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন; পুঁজি হারিয়ে পথে বসে পড়েন অনেকে। দীর্ঘ আট বছরেও সেই ধাক্কা পুরো কাটিয়ে উঠতে পারেনি পুঁজিবাজার। তবে সম্প্রতি চীনা কনসোর্টিয়াম নামে চীনের দুটি বড় পুঁজিবাজার আমাদের দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) স্ট্যাটেজিক ইনভেস্টর বা কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে যুক্ত হয়েছে। এর ফলে আশাবাদী হয়ে উঠছেন দেশীয় বিনিয়োগকারীরা। চীনা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে পুঁজিবাজারে গতি ফিরবে, এমনটিই প্রত্যাশা এখন তাদের। এরফলে পুঁজিবাজারের সকল ক্ষেত্রে সুশাসন আরও শক্তিশালী হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীন। তাদের অন্যতম দুই পুঁজিবাজার শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ। এগুলোর সঙ্গে দেশটির বড় বিনিয়োগকারী ছাড়াও বিদেশি শীর্ষ বিনিয়োগকারীরা যুক্ত। এ দুই স্টক এক্সচেঞ্জই চীনা কনসোর্টিয়াম হিসেবে আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে যুক্ত হয়েছে। তাদের মতো বড় দুই পুঁজিবাজার এদেশে আসার বিষয় নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক। এতে অন্যান্য দেশের বড় বিনিয়োগকারীদেরও এদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হবে। এ বিনিয়োগের ফলে পুঁজিবাজারের মালিকানার একাংশ চীনা কনসোর্টিয়ামের হাতে যাওয়ায় বাজারে শৃঙ্খলাও ফিরবে। এছাড়া সবকিছু এক ধরনের জবাবদিহির মধ্যে আসবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সবচেয়ে বড় বিষয়, তারা বাজারের উন্নয়নে কাজ করবে, যা পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও গতি আনয়নে সহায়ক হবে।

তবে পুঁজিবাজার নিয়ে সরকার, বিএসইসি, বিনিয়োগকারীসহ সকল পক্ষকেই সতর্ক থাকতে হবে। ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে যুক্ত করার প্রচেষ্টাও এই মুহুর্তে জরুরি।  প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আপত্তির জায়গাগুলো দূরীকরণের উদ্যোগ নিতে হবে। এর সঙ্গে চীনা বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে। এতে পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

(বিনিয়োগবার্তা/ ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮)


Comment As:

Comment (0)